কাবুল: আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়া ও ইরানের ভূমিকা নিয়ে প্রমাদ গুণছে আমেরিকা। রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে তালিবানের যোগাযোগ ক্রমশ বাড়ছে বলে অভিযোগ। এরফলে আফগানিস্তানে ছায়া-যুদ্ধের সম্ভাবনা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। এরফলে মার্কিন সাহায্যপুষ্ট বাহিনী সংকটে পড়বে এবং আফগানিস্তানে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যেতে পারে।


মস্কো ও তেহরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক নিরাপত্তার উন্নতি সাধনের জন্যই তারা তালিবানদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলছে। কিন্তু এই বক্তব্য মানতে পারছেন না মার্কিন আধিকারিকরা। ইরানও তলে তলে মদত দিয়ে চলেছে তালিবানকে।

আমেরিকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আফগান নীতি এখনও স্পষ্ট নয়। এই অবস্থায় আফগানিস্তান নিয়ে রাশিয়া ও ইরানের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট আমেরিকা।

আফগানিস্তান নিয়ে পাকিস্তানের দুমুখো নীতিও ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আমেরিকার কাছে। তালিবানের সঙ্গে আফগান সরকারের আলোচনার উদ্যোগ নিয়ে চিন-রাশিয়ার বৈঠকে সামিল হয়েছে পাকিস্তানও।

আফগানিস্তানে নিযুক্ত পদস্থ মার্কিন কম্যান্ডার জন নিকোলসন আফগানিস্তানে বহিরাগত শক্তিগুলির ক্ষতিকারক প্রভাব বিস্তারের নিন্দা করে বলেছেন, রাশিয়ার যুক্তি, তালিবান একটা সময় আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। তাঁর অভিযোগ, এই যুক্তি দেখিয়ে আসলে রাশিয়া ন্যাটো ও আফগান সরকারের প্রচেষ্টাকে খাটো করে আফগানিস্তানে সংঘর্ষে ঘৃতাহুতি দিতে যায়। নিলোকসন বলেছেন, একইভাবে ইরানও তালিবানদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।

রাশিয়া সরকারিভাবে আফগান সরকারকে সামরিক হেলিকপ্টার সরবরাহ করে। কিন্তু একইসঙ্গে তালিবানদের গোপনে মদত দিচ্ছে বলে আমেরিকার অভিযোগ।

আফগানিস্তানের এক আধিকারিক বলেছেন, তাজিকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ রাশিয়ায় নির্মিত অস্ত্রশস্ত্র পাওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক। সীমান্তের ওপার থেকে তালিবানরা সাহায্য পেলে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ঘোরাল হয়ে উঠতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

এক তালিবান কম্যান্ডারও রুশ সাহায্য পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সংবাদসংস্থাকে।