কিয়েভ: ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি। ওই অঞ্চলে  পুরোদস্তুর যুদ্ধের আশঙ্কা এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে রাশিয়া ছাড়তে দেশের নাগরিকদের নির্দেশ দিল ইউক্রেন।  রাশিয়া হামলা চালালে কনসুলার অ্যাকসেস পাওয়ার কাজ জটিল হয়ে পড়তে পারে বলে উল্লেখ করে দেশের নাগরিকদের রাশিয়া ছাড়তে বলেছে ইউক্রেন। সে দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক জানিয়েছে যে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ আগ্রাসনের মাত্রা বাড়ছে। এর ফলে রাশিয়ায় সম্ভাব্য কনসুলার সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সার্বিকভাবে কমে যেতে পারে।  এ কথা উল্লেখ করে ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রক তাদের নাগরিকদের অবিলম্বে রাশিয়া ছাড়তে এবং রাশিয়া না যেতে বলেছে। 


উল্লেখ্য, আমেরিকা ইতিমধ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যদিও ওয়াশিংটন বলেছে যে, কূটনৈতিকভাবে সমস্যার নিরসনের পথ এখনও খোলা রয়েছে। আমেরিকার অবস্থানের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন  বুধবার বলেছেন যে, কূটনৈতিক সমাধানের জন্য মস্কো প্রস্তুত। কিন্তু দেশের স্বার্থ নিয়ে কোনও সমঝোতা করা হবে না।


ইউক্রেনের পার্লামেন্ট বুধবার তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলির স্বাধীনতাকে স্বীকৃতিদানে সমর্থন এবং পূর্ব ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর ব্যবহারের জন্য রুশ পার্লামেন্টের সদস্য সহ রাশিয়ার ৩৫১ জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। 


অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেইসঙ্গে রাশিয়ার সাইবার অ্যাটাকের মাধ্যমে প্রত্যাঘাতের জন্য ব্যবসায়ী মহলকে প্রস্তুত থাকার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেন সম্পর্কে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিবাদে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তিনি বলেছেন, প্রথম দফায় কিছু নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা ও যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ থেকেই একে অপরের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অস্ট্রেলিয়া ও রাশিয়া। ইউক্রেনের সংঘাতে রাশিয়ার যোগসাজশের প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়া নিষেধাজ্ঞার পথে হেঁটেছিল।


এরইমধ্যে রাশিয়া সম্পর্কে কড়া মনোভাব নিয়েছে আমেরিকা। জাতির উদ্দেশে ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, পুতিনকে প্রতিবেশী দেশের অঞ্চলকে দেশ ঘোষণা করার অধিকার কে দিয়েছে? তিনি বলেছেন, এটি  ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের সূচনা।


মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, বলপ্রয়োগের মাধ্যমে আরও বেশি অঞ্চল দখল করার অজুহাত খাড়া করছেন ভ্লাদিমির পুতিন।  বাইডেন বলেছেন,  ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে পুতিন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছেন। আমরা রাশিয়াকে তাদের কথা নয়, কাজের দ্বারা বিচার করব।