কিয়েভ: রাশিয়া তিনদিক থেকে তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে গতকাল থেকে। একের পর এক শহরে ঢুকে পড়ছে রুশ বাহিনীর। শক্তিধর রাশিয়ার বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধে নামতে হয়েছে ইউক্রেনকে। কিন্তু এমন সংকটের পরিস্থিতিতে আমেরিকা, ব্রিটেন বা ন্যাটো সামরিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসেনি। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হতাশার সুরে বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ তাঁদের একাই লড়তে হচ্ছে। পাশে কেউ নেই।  
ন্যাটোর বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করে ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে ভীত ন্যাটো। কাজেই কিয়েভকে একাই নিজেদের রক্ষা করতে হচ্ছে।  জেলেনেস্কি বলেছেন, আমি তাঁদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম-আপনারা কি আমাদের সঙ্গে আছেন? তাঁরা উত্তরে বলেছিলেন যে, তাঁরা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। কিন্তু তাঁরা আমাদের জোটে নিতে চান না। 


জেলেনস্কি বলেছেন, আমি ইউরোপের ২৭ জন নেতাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ইউক্রেনকে কি ন্যাটো-তে রাখা হবে, আমি তাঁদের সরাসরি এই প্রশ্নের জবাব জানতে চেয়েছিলাম। সবাই ভয় পাচ্ছেন, উত্তর দেননি। 


সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমাদের পাশে কেউ নেই। কে আমাদের হয়ে যুদ্ধ নামতে প্রস্তুত? সত্যি কথা বলতে কী, আমি কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। ন্যাটোর সদস্যপদের ব্যাপারে কে ইউক্রেনকে গ্যারান্টি দেবে? সত্যি কথা বলতে কী, সবাই ভীত। 


রাশিয়ার মোকাবিলার ব্যাপারে ইউক্রেনকে একা ছেড়ে দেওয়ার জন্য পশ্চিমী দেশগুলির নেতৃত্বকে দায়ী করে ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার বলেছেন, তিনি রাশিয়ার আক্রমণ থামাতে আলোচনার পথে যেতে ভীত নন। কিন্তু এরজন্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত গ্যারান্টি প্রয়োজন। 


কিয়েভ থেকে শুক্রবার কথা বলতে গিয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি তাঁদের পশ্চিমের সহযোগীদের দ্বারস্থ হয়েছিলাম ও তাদের বলেছিলাম,ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে। 


শুক্রবার জেলেনস্কি বলেচেন, ইউক্রেনের নিরপেক্ষ অবস্থানের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলতে তিনি রাজি। কিন্তু এক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের গ্যারান্টির প্রয়োজন। 


জেলেনস্কি বলেছেন,আমরা রাশিয়াকে ভয় পাই না। আমরা রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলতেও ভয় পাই না। আলোচনাই সবকিছু। আমাদের দেশের নিরাপত্তার গ্যারান্টি ও নিরপেক্ষ অবস্থান। কিন্তু আমরা এখন ন্যাটো-র সঙ্গে নেই..আমাদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি কোথায়? কোন দেশ আমাদের এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেবে?


একইসঙ্গে বলেছেন, রাশিয়ার এই সামরিক আগ্রাসন বন্ধ হওয়া উচিত। 


উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বৃহস্পতিবার বলেছেন, নিউট্রাল স্ট্যাটাস, অস্ত্র ব্যবস্থা আয়োজন প্রত্যাখ্যান ইউক্রেনের জন্য পুতিনের রেড লাইন। বল এখন কিয়েভের কোর্টে।