কিভ: প্রায় দুই সপ্তাহ হতে চলল, কিন্তু এখনও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ থামার লক্ষ্মণ নেই। বারবার আলোচনার পরেও মিলছে না সমাধান সূত্র। উল্টে বাড়ছে যুদ্ধের অভিঘাত। দুই পক্ষের সেনার সংঘর্ষে প্রতিদিনই বাড়ছে ক্ষয়ক্ষচির পরিমাণ। তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শরণার্থী সমস্যা। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউনাইটেড নেশন হাইকমিশনার ফর রিফিউজি (UNHCR)। রাশিয়ারা হামলার পর থেকে ইউক্রেন ছেডে পালিয়েছেন প্রায় ২ মিলিয়ন বা কুড়ি লক্ষ নাগরিক। জানিয়েছে UNHCR. ওই শরণার্থীদের মধ্যে অন্তত অর্ধেকই নাবালক বলে মনে করছে ইউনাইটেড নেশনের ওই সংস্থা। ইউক্রেনের মাটিতে রাশিয়ান বাহিনী যত হামলা চালাচ্ছে, যত ভিতরে ঢুকে আসছে ততই বাড়ছে দেশ ছেড়ে পালানোর হিড়িক।
এই শরণার্থীদের একটি বড় অংশই আশ্রয় নিয়েছেন ইউক্রেনের একাধিক পড়শি দেশে। পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, মলডোবা, রোমানিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন অধিকাংশ। ইউক্রেনের খুব কম সংখ্যক নাগরিক আশ্রয় নিয়েছেন রাশিয়া ও বেলারুশে। জানানো হয়েছে ইউনাইটেড নেশনের (united nations) তরফে।
আপাতত প্রতি দশ জন শরণার্থীর মধ্যে ছয়জনই আশ্রয় নিয়েছেন পোল্যান্ডে। সেদেশের সরকারের তরফে শিবির তৈরি করা হয়েছে। শরণার্থীদের সাহায্য করার জন্য চলছে বিপুল প্রস্তুতিও। সাহায্য করছে হাঙ্গেরিও। ইউক্রেনের সঙ্গে পাঁচটি সীমান্ত রয়েছে এই দেশের। সবকটি দিয়েই হাঙ্গেরিতে আশ্রয় নিচ্ছেন ইউক্রেনের শরণার্থীরা।
কীভাবে পালাচ্ছেন শরণার্থীরা? অন্য দেশে আশ্রয় নিতে চাওয়া ইউক্রেনের নাগরিকদের সঙ্গে রাখতে হচ্ছে বৈধ পাসপোর্ট। সঙ্গে শিশু থাকলে তার জন্মের শংসাপত্র রাখতে হচ্ছে অভিভাবকদের।
যুদ্ধের ফলে ইতিমধ্যেই বহু প্রাণহানি হয়েছে। প্রবল ভোগান্তিতে রয়েছেন ইউক্রেনে থাকা সাধারণ বাসিন্দারাও। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রবল উদ্বেগে ইউনাইটেড নেশনস এবং আরও একাধিক মানবাধিকার সংস্থা। সম্প্রতি একই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন পোপ ফ্রান্সিসও। ভ্যাটিকান সিটিতে একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাসিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ রোখার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। প্রচুর মানুষের দুর্দশা বন্ধের বার্তাও দিয়েছিলেন।