ওয়াশিংটন: রাশিয়া কি চাপে পড়েছে? আমেরিকার একটি দাবি ঘিরেই উঠছে এমন প্রশ্ন। মার্কিন প্রশাসনের একটি অংশের দাবি, ইউক্রেনের (ukraine) বিরুদ্ধে যুদ্ধে চিনের থেকে সাহায্য চেয়েছে রাশিয়া (russia)। সামরিক অস্ত্র এবং অন্যান্য পরিকাঠামোগত সাহায্যও চেয়েছে রাশিয়া। দাবি মার্কিন প্রশাসনের। চিনের (china) থেকে আর্থিক সাহায্যও চেয়েছে পুতিন প্রশাসন। উঠেছে এমনই দাবি।


ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। তার পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা (usa)। একই পথে হেঁটেছে কানাডা-অস্ট্রেলিয়া সহ ইউরোপের একাধিক দেশ।  যুদ্ধ শুরু কিছুদিনের মধ্যেই সুইফট (swift) ব্যাঙ্কিং সিস্টেম থেকে  বাদ দেওয়া হয় রাশিয়ার ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন প্রক্রিয়া চালাতে সমস্যা পড়ে রাশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি। কোপ পড়ে রাশিয়ার একাধিক আমদানি-রফতানি সংস্থার উপরেও। রাশিয়ার আয়ের একটা বড় অংশ নির্ভর করে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানির উপরে। সুইফট থেকে বাদ পড়ার কারণে ধাক্কা খায় এই বাণিজ্য। এর পরপরই রাশিয়ার জন্য নিজেদের আকাশসীমাও বন্ধ করে দেয় কানাডা-সহ ইউরোপের একাধিক দেশ। ব্যবসায় ধাক্কা দেয় সেটিও। এরপর রাশিয়ার তেলের (oil) উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা। 


ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে কসুর করেনি আমেরিকা। সেনা না পাঠালেও টানা আর্থিক সাহায্য করে আসছে আমেরিকা। পাঠানো হচ্ছে বিপুল পরিমাণ আধুনিক অস্ত্র। একই পথে হেঁটেছে একাধিক দেশ। বিশেষজ্ঞদের মতে এই কারণেই হিসেব গন্ডগোল হতে পারে রাশিয়ার। বেশিদিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হচ্ছে পুতিনবাহিনীকে। ইউক্রেনের দাবি অনুযায়ী হামলা চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে রাশিয়ারও। সব মিলিয়ে এবার নিজেদের পাশে আরও একটি বড় শক্তিকে পেতে চাইছে রাশিয়া। এমনটাই মনে করছে আমেরিকা প্রশাসনের একটি অংশ। 


প্রথম থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করার পথে হাঁটেনি চিন। রাশিয়ার হামলাকে আগ্রাসন বলে মন্তব্যও করেনি। ইউএন (UN)-ভোটে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদান করেনি চিন। গোটা বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়েই দেখছে আমেরিকা। পশ্চিমের নিষেধাজ্ঞা পেরিয়ে রাশিয়ার পাশে দাঁড়ালে ফল ভুগতে হবে বলে চিনকে ঠারেঠোরে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে আমেরিকা। যদিও চিনের দাবি, রাশিয়া ও ইউক্রেনের সমস্যা আলোচনার মাধ্যমেই মেটানোর পক্ষে রয়েছে তারা।


আরও পড়ুন: শুধু মারিউপোলেই নিহত ২১৮৭ নাগরিক, দাবি ইউক্রেন সরকারের