নয়াদিল্লি: যুদ্ধের চতুর্থ দিনে ইউক্রেনে (Ukraine) গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে। এবার কি ইউক্রেনে পরমাণু হামলা (Nuclear attack) চালানোরও প্রস্তুতি নিচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন? (Vladimir Putin) দেশের সমস্ত পরমাণু প্রতিরোধ বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন। তাঁর এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই বিশ্বজুড়ে নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পুতিনের তীব্র সমালোচনা করে হোয়াইট হাউস বলেছে, পরমাণু হামলা চালানোর হুমকি দিচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
মাত্র চারদিনেই বদলে গেছে ছবির মতো দেশ ইউক্রেনের চেহারা। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে খারকিভ-সহ পূর্ব ইউক্রেনের একাধিক শহর। রাস্তায় ট্যাঙ্কের গর্জন, আকাশে ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টারের চক্কর। যখন-তখন উড়ে আসছে গোলা। রুশ বিমানের ছোড়া গোলা এসে পড়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিভেও। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহুতল। ঘরবাড়ি ছেড়ে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ।
এতদিন মূলত ইউক্রেনের সেনা ছাউনি ও পূর্ব সীমান্তবর্তী শহরগুলিকেই নিশানা করে আসছিল রাশিয়া, কিন্তু রবিবার দানিলিভকায় একটি গ্যাস পাইপলাইনে পুতিনের সেনাবাহিনী বিস্ফোরণ ঘটায় বলে অভিযোগ।
তবে ভয়ঙ্কর এই পরিস্থিতির মধ্যেও আশার কথা হল, প্রথমে আপত্তি জানিয়েও পরে প্রতিবেশী দেশ বেলারুশে রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনার টেবলে বসতে সম্মতি জানিয়েছে ইউক্রেন সরকার। এই বৈঠকে সমাধান সূত্র পাওয়া গেলে যুদ্ধবিধ্বস্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ স্বস্তি পাবেন।
জল-স্থল-আকাশ, তিনদিক ঘিরে ইউক্রেনের ওপর হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের দাবি, ইউক্রেনের ৮২১টি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা। ধ্বংস করা হয়েছে ইউক্রেনের ৭টি যুদ্ধবিমান, ৭টি হেলিকপ্টার, ৮৭টি ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ি। ২৮টি মাল্টিপল রকেট লঞ্চার উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের জেফোরজিয়া অঞ্চলের মেলিটোপোল শহর দখল করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের আরও একটি বড় শহর খারকিভেও ধ্বংসের ছবি। তবে রবিবার ইউক্রেনের সেনাবাহিনী পাল্টা দাবি করেছে, তারা রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে বিতাড়িত করে ফের খারকিভ দখল করেছে।