কিভ: রাশিয়াকে একচুল জমিও ছাড়বেন না বলে শুরুতেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। অক্ষরে অক্ষরে তা প্রমাণও করে চলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ( Volodymyr Zelensky)। যে ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গোটা দেশকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন তিনি, তাতেই বার বার ধাক্কা খাচ্ছে রুশ সেনা। প্রতিপক্ষের (Russia Ukraine War) মতো আধুনিক সমরজসজ্জা না থাকলেও ১১ দিন ধরে রাশিয়াকে ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছে। তাতেই আরও ভরসা পাচ্ছেন জেলেনস্কি। তাই আরও বেশি লোকবল নিয়ে রাশিয়ার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।


২৪ মার্চ রাশিয়া ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে শুরু করার পরাই দেশের সাধারণ মানুষকে আত্মরক্ষায় হাতে হাতিয়ার তুলে নিতে আহ্বান জানান জেলেনস্কি। তাঁদের পাশে থেকে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়ে যাবেন বলে জানান। তবে এ বার আর শুধু নিজের দেশের নাগরিক নন, অন্য দেশ থেকেও স্বেচ্ছায় যুদ্ধে অংশ নিতে চাওয়া প্রায় ১৬ হাজার মানুষকে পাশে পেয়ে গিয়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন: Russia Ukraine War: ফের সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার, আড়াই ঘণ্টার জন্য রেহাই, চলবে উদ্ধারকার্য, ত্রাণ বিলি


গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘ইন্টারন্যাশনাল লিজিয়ন অফ ডেরিটোরিয়াল ডিফেন্স’ নামের একটি কর্মসূচি গ্রহণ করে জেলেনস্কি সরকার। তাতে ইউক্রেনীয় সেনার পাশে দাঁডি়য়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ে আহ্বান জানানো হয় সকলকে। তাতে মাত্র চার দিনেই লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছ থেকে স্বেচ্ছাশ্রমের সাড়া পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে ইউক্রেন সরকার। তারা জানিয়েছে, প্রথম দফায় ১৬ হাজার বিদেশি নাগরিক ইউক্রেনের স্বাধীনতা রক্ষায় ৩এসে পৌঁছচ্ছেন। এর মধ্যে কানাডা, জাপান, ব্রিটিশ, জার্মান, মার্কিন এমনকি একসময় ন্যটোর সঙ্গে যুক্ত থাকা ছয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবকও রয়েছেন। এ ছাড়াও প্রযুক্তি, জনসংযোগ, দমকল বিভাগেও প্রচুর স্বেচ্ছাসেবক যোগ দিচ্ছেন।


রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে না গেলেও, দেশের নাগরিকদের ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোয় আপত্তি তোলেনি কানাডা।, ব্রিটেন, ক্রোয়েশিয়া, ডেনমার্ক, নরওয়ের মতো দেশ। কিন্তু অন্য দেশের হয়ে যুদ্ধে নামা অপরাধ বলে মত স্লোভাকিয়ার। গোপনে ইউক্রেনে যুদ্ধে যোগ দিতে যাওয়া ঠিক নয় বলে জানিয়েছে ইউক্রেন সরকারও। আমেরিকাও এ ব্যাপারে কড়া অবস্থান নিচ্ছে।নাগরিকদের যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে তারা।