ওয়াশিংটন: ফের ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণ অর্থসাহায্য আমেরিকার। সূত্রের খবর, বুধবারই ইউক্রেনের জন্য ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করবেন জো বাইডেন। ইউক্রেনের জন্য আমেরিকা (america) যে লাগাতার সাহায্য করে চলেছে, তারই অংশ এটি। সূত্রের খবর, এটি হলে, শুধুমাত্র গত এক সপ্তাহে আমেরিকার সাহায্যের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।  


এর আগে আমেরিকার কাছে আরও সাহায্যের আবেদন করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। আমেরিকা সেনেটররাও আরও আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন হোয়াইট হাউসকে (white house)। কদিন আগেই ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থসাহায্য়ের ঘোষণা করেছিসেন জো বাইডেন (joe biden)। ফের আর্থিক সাহায্য।


ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার আগে থেকেই ইউক্রেনকে (ukraine) লাগাতার সাহায্য করে আসছে আমেরিকা। ন্যাটোয় যোগদান এবং আরও নানা কারণে গত বছর থেকে ক্রমশ তলানিতে গিয়েছে রাশিয়া (russia) ও ইউক্রেনের সম্পর্ক। তারপরে চলতি বছরে ফেব্রুয়ারিতে হামলা শুরু করে রাশিয়া। পাল্টা প্রতিরোধ শুরু করে ইউক্রেনও। সাহায্যের জন্য বারবার ন্যাটোর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন জেলেনস্কি। যদিও রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি নিজেদের সৈন্যদের যুদ্ধে নামাতে নারাজ আমেরিকা (america)। সেনা নামাতে চায় না ব্রিটেন (britain), কানাডা (canada) বা ইউরোপের অন্য কোনও দেশ। তার বদলে অস্ত্র ও টাকা পাঠানো হচ্ছে ইউক্রেনে। বিভিন্ন ধরনের ভারী সমরাস্ত্র, স্ট্রিঞ্জার মিসাইল, জ্যাভেলিন অ্যান্টি আর্মার মিসাইল, কপ্টার ও রাডার সিস্টেম দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনকে। 


ইউক্রেনের আকাশ নো ফ্লাই জোন (no fly zone) করার  জন্য বারবার আবেদন করেছেন জেলেনস্কি। যদিও তাতে নারাজ ন্যাটো (nato)। তাদের যুক্তি, ইউক্রেনের এই দাবি মেনে নিলে পারমাণবিক শক্তিধর রাশিয়ার (russia) সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে ন্যাটো। যা বিশ্বের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ হতে পারে। 


আরও পড়ুন: ইউক্রেন-ফেরতদের কম খরচে রাজ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং, সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ইন্টার্নশিপ : আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর