কিভ: একটু হলেও কি শান্তির ইঙ্গিত? বৃহস্পতিবার মারিউপলে (Mariupol) সংঘর্ষবিরতির (ceasefire) ঘোষণা করল রাশিয়া। সেখানে আটকে থাকা নাগরিকরা যাতে সহজে নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে পারেন, সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত রাশিয়ার। যদিও মারিউপুলে সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা হলেও অন্যত্র থামছে না রাশিয়ার (Russia) হামলা। পূর্ব ইউক্রেনের একাধিক জায়গায় লাগাতার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ওই এলাকার তেলের ভান্ডার (Oil Depot) এবং একাধিক কারখানার (Factory) উপর হামলা করা হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের।
আমেরিকার নয়া দাবি:
এই পরিস্থিতিতেই নতুন একটি দাবি করেছে আমেরিকা। চেরনোবিল (chernobyl) ছেড়ে রাশিয়ান সেনা চলে যাচ্ছে বলে দাবি পেন্টাগনের। যদিও যুদ্ধের কারণে রাশিয়াকে আরও চাপে ফেলতে নতুন কোনও আর্থিক নিষেধাজ্ঞা (sanction) চাপানোর কথা ভাবছে আমেরিকা (america)। ইতিমধ্যে ফের নতুন করে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। ফের বিপুল পরিমাণ আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির ( Volodymyr Zelenskyy) সঙ্গে কথা বলেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। প্রয়োজনে আরও বেশি করে ইউক্রেনের পাশে থাকবে আমেরিকা। এমনই বার্তা দিয়েছেন তিনি।
লাগাতার যুদ্ধ:
ইতিমধ্যেই একমাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের (Ukraine) যুদ্ধে। লাগাতার যুদ্ধে প্রায় ধ্বংসস্তূপ ইউক্রেনের একাধিক এলাকা। যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই নানাভাবে ইউক্রেনকে সাহায্য করেছে রাশিয়া। কিছুদিন অন্তর অন্তর বিপুল পরিমাণ আর্থিক সাহায্য করা হয়েছ। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বহুমূল্যের অস্ত্র পাঠানো হয়েছে ইউক্রেনকে। আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র (arms), অর্থ এবং সামরিক তথ্য পাঠিয়েও সহযোগিতা করা হচ্ছে ইউক্রেনকে। একইরকম সাহায্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশেরও। তাছাড়া রাশিয়ার উপর একাধিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। রাশিয়ার আমদানি-রফতানি (import-export) ব্যবসায় ধাক্কা দিয়ে, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় ধাক্কা দিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে যাতে প্রভাব পড়ে যুদ্ধের উপর। যদিও কোনও বিষয়েই গুরুত্ব দেয়নি রাশিয়া। বরং বারবার রাশিয়া-ইউক্রেনের ঝামেলায় পশ্চিমী শক্তিগুলিকে নাক না গলাতে হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছে রাশিয়া।