কিভ : ইউক্রেনের মারিউপোলে রাশিয়ার হামলায় ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। অবরুদ্ধ লক্ষাধিক নাগরিক। এরই মধ্যে বন্দর শহর মারিউপোল আত্মসমর্পণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। যদিও রুশ বাহিনীর হুঁশিয়ারি উড়িয়ে আত্মসমর্পমণ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ইউক্রেন। এদিকে ক্রমাগত যুদ্ধের জেরে এই এলাকায় খাবার, জল ও বিদ্যুতের রসদ শেষ হয়ে আসছে স্থানীয়দের।
ইউক্রেনের নিউজ পোর্টাল ইউক্রেনসকা প্রাভদা দেশের উপ প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেস্চুকের উদ্ধৃত করেছেন, আত্মসমর্পণের কোনও প্রশ্নই নেই। অস্ত্র নামিয়ে রাখার কোনও প্রশ্ন নেই। আমরা ইতিমধ্যেই রাশিয়াকে তা জানিয়েও দিয়েছি। উল্লেখ্য, রাশিয়া এর আগে ইউক্রেনকে মারিউপোলে অস্ত্র না নামিয়ে রাখলে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল।
রাশিয়া লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেনের প্রায় ধ্বংসস্তূপ হয়ে ওঠা একের পর এক শহরে আছড়ে পড়ছে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলা। ইউক্রেন সরকারের তথ্য অনুযায়ী, শুধু কিভেই এখনও পর্যন্ত ২২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিভে মৃত্যু হয়েছে ৪ শিশুরও। ১৬ শিশু সহ আহত হয়েছেন ৯০০ জন। রাশিয়ার হামলায় প্রায় ৪০টি বাড়ি, ৬টি স্কুল ৪টি কিন্ডারগার্টেন ধ্বংস হয়েছে।
রাশিয়ার ট্যাঙ্ক বাহিনীকে রুখতে সীমান্তে একটি ব্রিজ উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেনের সেনা। রুবিঝনিতে রাশিয়ার গোলায় ইউক্রেনের তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ২ শিশু।
ইভানো-ফ্রাঙ্কিভিস্কে অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস করতে ‘কিনঝল’ হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়া। এই প্রথম ইউক্রেনে এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়া ব্যবহার করেছে বলে দাবি করেছে সে দেশের সরকার।
এরইমধ্যে রাশিয়ার ধনকুবেরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুইত্জারল্যান্ড সরকারকে অনুরোধ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। অন্যদিকে, পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে সেই আলোচনা ব্যর্থ হলে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে। গতকাল যুদ্ধের ২৫তম দিনে এমনই সতর্কবার্তা দেন জেলেনস্কি। এদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, ফের ইউক্রেনে হাইপারসনিক মিসাইল দিয়ে হামলা চালিয়েছে তারা।