বেজিং : ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চাপ বাড়িয়েছে রাশিয়ার (Russia) ওপর। তাতেও অবশ্য নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেননি পুতিন। পাশে পেয়েছে চিনকে (China)। এমনকী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তরফে রাশিয়াকে ধিক্কারের পরও মস্কো ও বেজিংয়ের বন্ধুত্ব অটুট আছে বলে জানিয়ে দিলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। শুধু তাই নয়, ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি আনতে মধ্যস্থতা করতেও প্রস্তুত আছে বলে জানানো হয়েছে বেজিংয়ের তরফে।


ওয়াং এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক "পাহাড়ের মতো মজবুত" আছে। ভবিষ্যতেও উভয় দেশের মধ্যে বিশাল পারস্পরিক সমঝোতার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু, চিন প্রয়োজনে মধ্যস্থতার জন্য আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করতেও আগ্রহী বলে জানিয়ে দেন তিনি।


এদিকে আজ ফের ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে রাশিয়া। ভারতীয় সময় বেলা ১২.৩০টা থেকে জারি হয় যুদ্ধবিরতি। যুদ্ধে যাঁরা আটকে পড়েছেন, তাঁদের বার করে আনতে তৃতীয় বার যুদ্ধবিরতির কথা জানানো হয়। ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাকরঁর অনুরোধে যুদ্ধবিরতি রাশিয়ার। 


এর আগে যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইউক্রেনে হামলার অভিযোগ উঠেছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে। দুই শহরে মানব করিডরের উপর বোমা বর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ উড়িয়ে দেয় রাশিয়া। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ইউক্রেনের বিরুদ্ধেই মধ্যস্থতারীকে খুনের অভিযোগ ওঠে।


সকালে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা। দুপুর গড়াতে না গড়াতেই ফের হামলা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ তোলে ইউক্রেন। রুশ গোলা বর্ষণের জন্য মারিউপোলে পিছিয়ে যায় উদ্ধারকাজ! গত কয়েকদিন ধরে আজভ সাগর তীরবর্তী বন্দর শহর মারিউপোল অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাশিয়া। মারিউপোল থেকে ৬৬ কিলোমিটার দূরের ভলনোভাখাও ভৌগলিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ। শনিবার ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় ইউক্রেনের এই দুটি শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে রাশিয়া। দুই শহর থেকে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপদে বেরোনোর জন্য ৭ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়।