নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপুঞ্জে (United Nations) রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদান থেকে ফের বিরত থাকল ভারত (Russia Ukraine War)। ইউক্রেনে সেনা নামানোর সিদ্ধান্তে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জমা পড়েছিল। স্থানীয় সময় রবিবার বিকেলে সেই নিয়ে ভোটাভুটি হয়। কিন্তু ভোটদান থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় ভারত। বরং বেলারুশ সীমান্তে মস্কো এবং কিভের মধ্যে আলোচনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় (Russia Ukraine War News)।


রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (United Nations Security Council) রবিবার ভোটাভুটি চলছিল, যাতে সোমবার থেকেই রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনে শুনানি শুরু করা যায়।  সেখানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শুনানির পক্ষে ভোট দেয় ১১টি দেশ, যাতে এ দিনই শুনানি শুরু করা যায়। কিন্তু ওই ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি ভারত। চিন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও ভোটদান থেকে নিজেদের বিরত রাখে।


রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশন নিয়ে ভোটাভুটিতে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করা যায় না। তাই এ বার সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেনি রাশিয়া। তবে ওই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোটদান করে তারা। তবে ১১টি দেশ যেহেতু রাশিয়ার বিরুদ্ধে শুনানিতে সায় দিয়েছে, তাই সোমবার নিউইয়র্কে সভাপতি আবদুল্লা শাহিদের নেতৃত্বে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শুনানি হবে।



আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: ছদ্মবেশে শহরে ঢুকছে রুশ সেনা, দাবি কিভের মেয়রের


ভোটদানে অংশ না নেওয়ার পক্ষে ভারতের তরফে যুক্তি দেওয়া হয় যে, ইউক্রেনের পরিস্থিতির অবনতি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যপূর্ণ। তবে এই পরিস্থিতিতে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনাকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত, যাতে অবিলম্বে হিংসা বন্ধ হয় এবং শত্রুতার মনোভাব কাটিয়ে বেরিয়ে আসা যায়।


রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি জানান, কূটনীতি এবং আলোচনাই সঙ্কট কাটিয়ে বেরনোর শ্রেষ্ঠ উপায়। তিরুমূর্তি জানান, রাশিয়া এবং ইউক্রেন, দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গেই কথা হয়েছে ভারতের। দু’পক্ষ যে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে স্বাগত জানাচ্ছে দিল্লি।


এর আগে আমেরিকা এবং আলবেনিয়ার তরফে রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়ার জন্য নিন্দা প্রস্তাব আনা হলেও ভোটদান থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিল ভারত। চিন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও সে বার ভারতের রাস্তাই ধরে। তিন দেশের সেই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছিল মস্কো।