খেরসন (ইউক্রেন) : ক্রমশ এগিয়ে আসছিল রুশ সাঁজোয়া গাড়ি। ক্রিমিয়ার কাছে খারসন অঞ্চলে (Kherson region) হেনিসচেক ব্রিজ (Henichesk Bridge) টপকে ফেললেই শহরের দখল নিয়ে ফেলত রুশ সেনা (Russian Troop)। এই অবস্থায় শহর তথা দেশকে বাঁচাতে চরম আত্মত্যাগের পথ বেছে নিলেন ইউক্রেনের এক সৈনিক (Ukraine Army)। শরীরে বোমা বেঁধে ব্রিজে দৌড়ে পৌঁছে টিপে দিলেন ট্রিগার। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ভেঙে পড়ল হেনিসচেক ব্রিজ। থমকে দাঁড়াতে বাধ্য হল রুশদের অগ্রগমন। আর রুশদের বাঁচাতে গিয়ে ব্রিজ ওড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চরম আত্মবলিদান দিলেন ইউক্রেনের মেরিন ভাইটালি সাকুন ভলোডমায়রোভিচ (Vitaliy Skakun Volodymyrovych)। ইউক্রেনের সেনার পক্ষ থেকে রীতিমতো বিবৃতি জারি করে যে ঘটনা সম্পর্কে জানিয়ে শহিদ বীর যোদ্ধাকে কুর্নিশ জানানো হয়েছে।


একাধিক শহরের পাশাপাশি ইউক্রেনের রাজধানী কিভ পুরোপুরি দখল করতে মরিয়া রুশ বাহিনী। কিভের বাইরে রাস্তা দিয়ে ছুটে আসছে একের পর এক রুশ সাঁজোয়া গাড়ি। সেখানে সামনে এসেছে একটি ভিডিওটি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, রুশ বাহিনীর ট্যাঙ্কার ও সাঁজোয়া গাড়ির পথ আটকানোর চেষ্টা করছেন এক ব্যক্তি। বাধার মুখে পড়ে ওই ব্যক্তিকে এড়িয়ে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যায় রুশ বাহিনীর গাড়ি। যে ছবি মনে করায় ৩২ বছর আগের ‘ট্যাঙ্ক ম্যানে’র স্মৃতি। ১৯৮৯-এর ৫ জুন, আজকের রাশিরার বন্ধু দেশ চিনের তিয়েনআনমেন স্কোয়ার। কমিউনিস্ট সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে ট্যাঙ্কের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ান সাদা জামা, কালো প্যান্ট এক প্রতিবাদী যুবক। থমকে যায় ট্যাঙ্ক।






রাশিয়ার থেকে ধারেভারে বহু পিছিয়ে থাকলেও, প্রাণপণ লড়াই করছে ইউক্রেন সেনা। ইউক্রেন সরকার জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলায় এখনও পর্যন্ত তাঁদের ১৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩৬০ জন। ইতিমধ্যে চেরনোবিলের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের দখল নিয়েছে রুশ প্যারাট্যুপাররা। ইউক্রেনের মেলিটোপল বিমানঘাঁটির দখলও নেওয়া হয়েছে বলে দাবি মস্কোর। তাদের দাবি, এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের ২৪৩ জন সেনা ও একটি মেরিন ব্রিগেড আত্মসমর্পণ করেছে। ইউক্রেনের ১১৮টি সামরিক পরিকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে।


আরও পড়ুন- ইউক্রেনের মেয়ে, বাঙালি বউ, পরিবারের চিন্তা কুরে কুরে খাচ্ছে ইরিনাকে