কিভ: যুদ্ধের মাঝেই রাস্তায় নামলেন ইউক্রেনের বাসিন্দারা। দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন (kherson)। যুদ্ধ শুরু পর থেকে সবার প্রথমে ইউক্রেনের এই শহরই রাশিয়ার কব্জায় যায়। এবার সেখানেই ইউক্রেনের (ukraine) জাতীয় পতাকা হাতে বিক্ষোভ সেখানকার সাধারণ বাসিন্দাদের।

  


শনিবার সকাল থেকেই শহরের প্রাণকেন্দ্র লির্বাটি স্কোয়ারে (liberty square) জমায়েত করেন শহরের বাসিন্দারা। আন্দোলনের শুরু থেকেই ভিডিও স্ট্রিমিং করেছেন বেশকিছু আন্দোলনকারী। ওই ভিডিওতেই দেখা গিয়েছে ইউক্রেনের জাতীয় পতাকা হাতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। খেরসনের মেয়র ইগর কোলখায়েভের (igor kolkhaev) দাবি, রাশিয়ান বাহিনী শূন্যে গুলি চালালেও আন্দোলনকারীদের কেউ পিছু হটেনি। যদিও কোনও সংঘর্ষ হয়নি। হতাহতেরও কোনও ঘটনা ঘটেন। শহরের মেয়রের দাবি, অন্তত ২ হাজার লোকের জমায়েত হয়েছিল। রাশিয়ার দখলে যাওয়া একাধিক শহরে এরকম বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। যদিও কোথাও রাশিয়ান বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।


ভয়াবহ যুদ্ধের পরে পিছু হটে ইউক্রেনের (ukraine) বাহিনী। তারপরেই খেরসান দখলে আসে রাশিয়ার (russia)। ইউক্রেনের দাবি, ওই যুদ্ধে প্রাণ গিয়েছে ইউক্রেনের একাধিক সাধারণ নাগরিকের। তার জন্য রাশিয়ার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে ইউক্রেন। 


শনিবার দশম দিনে পড়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের। ইতিমধ্যেই একাধিক ক্ষয়ক্ষতির দাবি করেছে দুই পক্ষ। প্রাণও গিয়েছে বহু। এদিন বেশ কয়েকঘণ্টার জন্য সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। ইউক্রেনে আটকে পড়া বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সরিয়ে আনার জন্য এই ছাড় দেওয়া হয়েছিল। যদিও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ফের রাশিয়ার সেনা হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এরই মধ্যে কাজ চলছে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার। অপারেশন গঙ্গার মাধ্যমে নাগরিকদের ফেরানো হচ্ছে দেশে। ইতিমধ্যেই দেশে ফিরেছেন সেদেশে আটকে যাওয়া একাধিক পড়ুয়া।


আরও পড়ুন: যুদ্ধের জেরে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে? রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে চাঞ্চল্য