ওয়াশিংটন: রাশিয়াকে (International Sactions on Russia) নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দিতে সাহায্য নয়। অন্যথায় ফল ভুগতে হবে তাদেরও। এ বার এই মর্মেই চিনকে হুঁশিয়ারি দিল আমেরিকা (US Warns China)। শুধু চিনই নয়, নিষেধাজ্ঞার ফাঁক গলে কোনও দেশ যদি রাশিয়াকে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ করে দেয়, তারাও নিস্তার পাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল আমেরিকার সরকার।
রাশিয়া থেকে তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, হিরে, ভদকা-সহ প্রায় সব ধরনের পণ্য আমদানিই নিষিদ্ধ করেছে আমেরিকা। ইউরোপের একাধিক দেশও সেই পথেই হেঁটেছে। কিন্তু সরাসরি রাশিয়ার সমালোচনা করার রাস্তায় হাঁটেনি চিন। বরং রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই দেশকেই অস্ত্র সংবরণের আর্জি জানিয়েছে তারা।
এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমি দেশগুলির বিরুদ্ধে রাশিয়া-চিন সখ্য আরও মজবুত হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এমনকি চিনের সাহায্যে রাশিয়া সমগ্র এশিয়ায় পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই ওয়াশিংটনের তরফে বেজিংকে সতর্ক করা হল বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।
রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia Ukraine War) যুদ্ধ নিয়ে সোমবারই রোমে চিনা কূটনীতিক ইয়াং জিয়েচির সঙ্গে বৈঠক রয়েছে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের। তার আগে রবিবার বেজিংকে সতর্ক কররে দেন তিনি। বলেন,“সরাসরি এবং মুখোমুখি বেজিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছি আমরা। পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিচ্ছি, রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দিতে সাহায্য করলে ফল ভোগ করতে হবে। পড়তে হবে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার মুখে।”
কোনও রাখঢাক না করে সুলিভান আরও বলেন, “আমরা চাই না, এই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে কোনও ভাবেই ফাঁক ফোকর গলে শ্বাস ফেলার ফুরসত পাক রাশিয়া। তাই কোনও দেশ তাদের এই সুযোগ করে দিক, তা হতে দেব না।”
সুলিভানের এই মন্তব্যে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন উপসাগরীয় এবং উপমহাদেশীয় কূটনীতিকরা। কারণ চিন-সহ ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দেশও রাশিয়ার সমালোচনায় যায়নি। রাষ্ট্রপুঞ্জে অন্য দেশ যখন রাশিয়ার নিন্দায় ভোট দিয়েছে, তখন ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে তারা। সামরিক এবং অন্য ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কও রয়েছে তাদের। তাই শুধু চিন নয়, ভারতের উপরও আমেরিকার এই হুঁশিয়ারি প্রযোজ্য বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।