কিভ: যুদ্ধ পা রাখতে চলেছে তৃতীয় সপ্তাহে। কিন্তু ইউক্রেনে রুশ হামলার তীব্রতা বেড়েই চলেছে। এ বার সেখানে সেনা প্রশিক্ষণ শিবিরে হামলা চালাল তারা। তাতে কমপক্ষে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ১৩০ জনের বেশি। বিমান থেকে ওই সেনা প্রশিক্ষণ শিবিরে বোমাবর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।


দেশের পশ্চিমে লভিউভ শহর লাগোয়া পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে অবস্থিত ওই সেনা প্রশিক্ষণ শিবিরটি। রবিবার সেখানে রুশ যুদ্ধবিমান থেকে মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ইউক্রেন সরকারের। তাতেই ওই সেনা প্রশিক্ষণ শিবিরে একের পর এক লাশ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায় বলে অভিযোগ।


ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ বলেন, “অন্য দেশের প্রশিক্ষকরাও ওই শিবিরটিতে কর্মরত। সেখানেই হামলা চালানো হয়েছে।” নিহতদের মধ্যে বিদেশি প্রশিক্ষক রয়েছেন কি না, তা যদিও এখনও স্পষ্ট নয়। তবে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া যুদ্ধ ঘোষণা করলে ইউক্রেনে মোতায়েন বিদেশি যোদ্ধাদের সিংহভাগই সেখান থেকে সরে যান।


আরও পড়ুন: Iraq: ইরাকের ইরবিলে মার্কিন দূতাবাসে মিসাইল হামলা, হতাহতের খবর নেই


ওই প্রশিক্ষণ শিবিরটির নাম ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর পিসকিপিং অ্যান্ড সিকিয়োরিটি-তেও রুশ বোমা আছড়ে পড়েছে বলে অভিযোগ লভিউভের স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসক ম্যাক্সিম কোজিসৎস্কি বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমাকে ঘোষণা করতে হচ্ছে যে, আরও বীর সন্তান হারালাম আমরা। বোমার আঘাতে ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ১৩৪ জন গুরুতর আহত। সেনা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।”


উল্লেখ্য, ওই প্রশিক্ষণ শিবিরটি ইউক্রেনীয় এবং ন্যাটো বাহিনীর যৌথ প্রশিক্ষণ শিবির। ইউক্রেন থেকে ন্যাটো এবং আমেরিকাকে সম্পূর্ণ ভাবে উৎখাত করতেই যুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর সাফ বক্তব্য, রাশিয়াকে চারিদিক থেকে ঘিরে ধরাই লক্ষ্য আমেরিকা এবং তাদের হাতের পুতুল ন্যাটোর। তার জন্য ইউক্রেনকে বোড়ে করা হচ্ছে, যা তিনি হতে দেবেন না।