নয়াদিল্লি: ইউক্রেন হামলার তৃতীয়দিনেও ধ্বংসলীলা রাশিয়ার। রাজধানী কিভে বহুতলে মিসাইল হামলা। শহর জুড়ে কার্যত ধ্বংসস্তূপ। এরই মধ্যে ইউক্রেনে ধ্বংসের খতিয়ান রাশিয়ার। ৮২১টি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা রুশ সেনার। ক্ষতিগ্রস্ত বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে অ্যান্টি এয়ারক্র্যাফট মিসাইল সিস্টেম। ধ্বংস করা হয়েছে ৭টি যুদ্ধবিমান, ৭টি হেলিকপ্টার, ৮৭টি ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ি। ২৮টি মাল্টিপল রকেট লঞ্চার, ১১৮টি ইউক্রেন সেনার গাড়িও ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের।
রাশিয়ার শতাধিক সেনা ও সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংস হয়েছে খারকিভে। পাল্টা দাবি ইউক্রেনের। পাশাপাশি, ইউক্রেনের রাজধানী কিভ দখলের চেষ্টা রাশিয়ার। ক্রুজ মিসাইল নিয়ে ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় রুশ সেনা। দাবি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। পাশাপাশি, দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের জেফোরজিয়া অঞ্চলের মেলিটোপোল শহর দখল করেছে রাশিয়া। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর। এদিকে, ইউক্রেনে একাধিক শহরের রাস্তায় ঘুরছে রাশিয়ান ট্যাঙ্ক। ভাঙছে প্রতিরোধ। তবু এরই মধ্যে রুশ সেনার পণ্যবাহী বিমান গুলি করে নামানোর দাবি করল ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। রাজধানী কিভ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ভাসিলকিভ শহরের কাছে প্যারাট্রুপার-সহ রুশ বিমান ছাড়াও ১০০ জন রুশ সেনা ও ১০০টি সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংস করেছে বলে দাবি ইউক্রেনের।
এদিকে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াল ২৮ দেশ। আমেরিকা, ব্রিটেন সহ ইউরোপের বহু দেশ ইউক্রেনকে সাহায্যে প্রস্তুত। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনে পাঠানো হচ্ছে আরও অস্ত্র।পাঠানো হচ্ছে সামরিক সরঞ্জাম ও ওষুধ ।‘আমাদের সহযোগী দেশগুলি ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে শুরু করেছে’, জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল মাকরঁ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন গতকালই প্রায় আধ ঘণ্টায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রতিরক্ষা সহায়তা ও যুদ্ধবিরোধী জোট নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে বলে জানা গেছে। এরইমধ্যে জানা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন বিদেশ দফতরকে ইউক্রেনকে সাড়ে তিনশো মিলিয়ন ডলার সামরিক সাহায্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। রাশিয়ার হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক ও ব্যাপক সামরিক সম্ভার ও বিশাল সংখ্যায় সেনা। এরফলে স্বাভাবিকভাবেই চাপের মুখে রয়েছে ইউক্রেন। এই অবস্থায় ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা ও ব্রিটেন সহ ২৮ দেশ।