নয়াদিল্লি: ইউক্রেনে হামলার দশম দিনে আক্রমণের ধার আরও বাড়াল রুশ বাহিনী। রাজধানী কিভের আরও কাছে পৌঁছে গেছে রাশিয়ার সেনা। আগের দিনই কিভ-খারকিভের পর ইউক্রেনের আরেক বড় শহর চেরনিহিভে বড়সড় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রতিদিনই বিভিন্ন নিশানায় আঘাত হানছে রুশ বাহিনী। অন্যদিকে, পাল্টা প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন সেনাও। গতকাল জাটোকায় গুলি করে রুশ-যুদ্ধ বিমান নামানোর দাবি করেছে ইউক্রেন। মাইকোলেভ শহরে রুশ ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে ইউক্রেনের সেনা।প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি,যুদ্ধ এখনও পর্যন্ত ৯ হাজার ২০০ রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। এরইমধ্যে ইউক্রেনের মনোবল ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে রাশিয়া প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এমনই দাবি করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুসারে, যে সব নথিপত্র ফাঁস হয়েছে, তার থেকে ইঙ্গিত মিলেছে যে, রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (Federal Security Service) ইউক্রেনের মানুষের মনোবল ভাঙতে শহরের প্রকাশ্য জায়গায় ফাঁসি দেওয়ার পরিকল্পনা তৈরি করেছে।
ইউরোপীয় গোয়েন্দা তথ্য উল্লেখ করে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস খুবই বিপজ্জনক পরিকল্পনা তৈরি করেছে। ইউক্রেনীয়দের মনোবল ভাঙতে সে দেশের শহরগুলিতে ইউক্রেনের নাগরিকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার পরিকল্পনা কার্যকর করতে পারে রাশিয়া।
ইউরোপের এক গোয়েন্দা আধিকারিককে উদ্ধৃত করে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, মানুষের মনোবলে ধাক্কা দেওয়ার পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে কঠোর দমননীতিও গ্রহণ করতে পারে মস্কোর ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস।
ব্লুমবার্গে যিনি এই প্রতিবেদন লিখেছেন সেই কিট্টি ডোনাল্ডসন ট্যুইটে লিখেছেন, রুশ এজেন্সি ইউক্রেনীয়দের মনোবল ভাঙতে বিক্ষোভকারীদের কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিবাদ আয়োজনকারীদের দমনমূলক আটকেরও পরিকল্পনা করেছে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে রাশিয়ার সেনার দখলে চলে গেছে ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র জেপোরিজিয়া। ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা ও ধোঁয়া বেরোনোর খবরে সারা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ। রাশিয়ার এই আক্রমণ পারমাণবিক সন্ত্রাস বলে অভিহিত করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। তবে ইউক্রেনের পারমাণবিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা জেপোরিজিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ ধরা পড়েনি।