কিভ: যুদ্ধ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল গোটা বিশ্ব। প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে প্রাণহানি। তার পরও ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই বলে এ বার অভিযোগ করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ((Russia Ukraine War)) এবং বোমাবর্ষণের আঘাত এড়াতে নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের (No Fly Zone) পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংগঠন ন্যাটো (The North Atlantic Treaty Organization/NATO) তা খারিজ করে দিয়েছে। তাতেই সরব হয়েছেন জেলেনস্কি। 


ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধের অর্থ, সেখানে রাশিয়ার বিমান দেখলেই ন্যাটো এবং সহযোগী দেশগুলি সেই বিমান গুলি করে নামিয়ে দিতে পারে। কিন্তু ইউক্রেন এখনও পর্যন্ত ন্যাটোর সদস্যপদও পায়নি। তাই তাদের রক্ষা করতে গিয়ে পরমাণু শক্তিসম্পন্ন দেশগুলির মধ্যে যুদ্ধ দেখা দিক, ন্যাটো তা চায় না বলে দাবি কূটনৈতিক মহলের। তাই ন্যাটোর সাধারণ সম্পাদক জেন্স স্টোলটেনবার্গ জানান, শুক্রবার সংগঠনের বৈঠকে প্রসঙ্গটি উঠলেও, ইউক্রেনীয় আকাশে ন্যাটোর বিমান ঘোরাফেরায় রাজি হয়নি কোনও দেশই। 


ন্যাটোর তরফে এমন বার্তা পেয়েই তাদের সমালোচনায় সরব হন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, "মুহুর্মুহু আক্রমণ, প্রাণহানি নিশ্চিত জেনেও ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধে সায় দিচ্ছে না ন্যাটো।  এতে আসল অর্থে রাশিয়াকে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে আকাশ থেকে ইউক্রেনের গ্রামে-গঞ্জে বোমা ফেলতে পারে তারা।" তবে ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধে সায় না দিলেও, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির (Vladimir Putin) পুতিনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ন্যাটো। বোমাবর্ষণ বন্ধ না হলে, রাশিয়ার উপর আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে বলে জানিয়েছে। 


বিগত ১০ দিন ধরে যুদ্ধের আগুনে জ্বলছে ইউক্রেন। এখনও পর্যন্ত সমাপ্তির কোনও লক্ষণ নেই। বরং পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরাল হয়ে উঠছে। বিগত কয়েক দিন ধরে লাগাতার ইউক্রেনের বুকে মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র, বোমা আছড়ে পড়েছে। তাতে রাশিয়াকে (Russia Ukraine War News) কাঠগড়ায় তোলা হলেও, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। মিথ্যে রটনার উপর ভর করে রাশিয়াকে খলনায়ক হিসেবে দেখানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 


আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War LIVE Updates, March 3: ফেসবুক টুইটার নিষিদ্ধ করল রাশিয়া, ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধে সায় দিল না ন্য়াটো


তবে গত ১০ দিন ধরে যুদ্ধ চলাকালীন রাশিয়ার সেনার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে যে ভূরি ভূরি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে এসেছে, তা নিয়ে মস্কোর বিরুদ্ধে তদন্তে সায় দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশন। প্রয়োজনে যুদ্ধাপরাধ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা। তাতে দুই পরিষদের ৪৭ জন সদস্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে তদন্তে সায় দিলেও, ১৩টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থাকে।