মস্কো: জাতীয় স্বার্থে ইউক্রেনে সেনা নামাতে হয়েছে বলে গোড়া থেকেই যুক্তি দিয়ে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। তার জন্য লক্ষ লক্ষ সেনা নামিয়েছেন। তাদের হাতে গুলি, বোমা, ক্ষেপণাস্ত্রের অফুরন্ত জোগানও দেওয়া হচ্ছে (Russia Ukraine War)। কিন্তু তাতে আমেরিকা এবং ন্যাটোকে বার্তা দেওয়া গেলেও, রাশিয়ার অর্থনীতিতে ধস নামতে শুরু করেছ (Russia Ukraine War News)। যুদ্ধের মাশুল দিতে হচ্ছে সে দেশের ধনকুবেরদেরও। প্রতিদিন কোটি কোটি ডলার হারাচ্ছেন তাঁরা।
আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক পত্রিকা ফোর্বসের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৬ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া প্রথম ইউক্রেনে পা রাখে যে দিন, সেই থেকে এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার তাবড় ধনকুবেররা ১২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার খুইয়েছেন। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার, যে দিন ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সেনা অভিযানের ঘোষণা করেন, সে দিনই রাশিয়ার বাজার থেকে ৭ হাজার ১০০ কোটি ডলার মুছে যায় বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
গত বৃহস্পতিবার পুতিনের ঘোষণার পরই রাশিয়ার বাজারে শেয়ার সূচকে ৩৩ শতাংশ পতন ঘটে। ডলারের নিরিখে রাশিয়ার মুদ্রা রুবলের রেকর্ড পতন ঘটে। ফোর্বস জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রথম পাঁচ ধনকুবের—আলেকপেরভ, মিখেলসন, মোরদাশভ, পোতানিন এবং কেরিমভ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সেনা অভিযানের ঘোষণার পর রাশিয়ার ১১ জন ধনকুবের মাথা পিছু ১০০ কোটি ডলার করে খোয়ান। তার পর থেকে আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো একাধিক দেশ ইউক্রেনের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। পুতিনের প্রাক্তন জামাতা কিরিল শামালভের উপরও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। ঘোষণা হয়েছে একাধিক দেশে রাশিয়ার ব্যাঙ্কের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার হওয়ারও। ব্রিটেনে যদি কোনও রুশ নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকে, তাতে ৬৬ হাজার ডলারের বেশি রাখার অনুমতি নেই, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা।
রাশিয়ার উফর নিষেধাজ্ঞার ফাঁস আরও টানটান করতে আমেরিকা এবং ব্রিটেনের তরফে বিশেষ উদ্যোগ চোখে পড়ছে। লেনদেন প্রযুক্তি সুইফ্ট থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যা কি না আন্তর্জাতিক অর্থনীতি এবং ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার পাইপলাইন হিসেবে গন্য হয়।