মস্কো: রাশিয়ায় নরখাদক সন্দেহে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তে নেমে ভয়ানক ঘটনার কথা জানতে পেরেছে পুলিশ। গত ২০ বছর ধরে ওই দম্পতি প্রায় ৩০ জনকে খুন করে তাদের মাংস খায়। তারপর দেহাংশগুলি একটি পাত্রে ভরে ফ্রিজে ভরে রাখে।এমনটাই অনুমান পুলিশের। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।


রাশিয়ার টিভি চ্যানেল এনটিভি সূত্র উল্লেখ করে জানিয়েছে, পুলিশ ওই দম্পতির বাড়িতে হানা দিয়ে মানুষের দেহাংশ, ক্যানবন্দী মাংস ও লবনাক্ত জলে ডোবানো দেহাংশ বাজেয়াপ্ত করেছে। এছাড়াও বরফে জমিয়ে রাখা মানুষের মাংস ও তা রান্নার প্রণালী লেখা কাগজও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

মানুষের দেহাংশ বাড়ির উঠোন ও বেসমেন্টেও পাওয়া গিয়েছে।

সূত্র উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, কোনও ব্যক্তিকে প্রথমে হত্যা করে তার দেহ টুকরো টুকরো করত ওই দম্পতি। পরে সেগুলি ক্যানবন্দী করে রাখত।

ওই দম্পতির খোয়া যাওয়া মোবাইলের সূত্র ধরে এই ভয়ঙ্কর ঘটনার হদিশ করতে পেরেছে পুলিশ। গত ১১ সেপ্টেম্বর একটি রাস্তা সারাইয়ের সময় ওই মোবাইলটি কর্মীদের হাতে পড়ে। মোবাইলটি তখনও চালু ছিল। মোবাইলের ভেতরে ছবি দেখে আঁতকে ওঠেন রাস্তা সারাই কর্মীরা। তাঁরা ছবিতে এক ব্যক্তিকে মানুষের দেহাংশ মুখে নিয়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা পুলিশের কাছে মোবাইলটি জমা দেন।

ক্রাসনোদার শহরের দম্পতি নাতালিয়া বাকশিভা ও তার স্বামী ৩৫ বছরের দিমিত্রি বাকশিভকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শহরের অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু বা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ওই দম্পতির হাত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। ইতিমধ্যে ৩৫ বছরের এক ব্যক্তি ও তাঁর ৪২ বছরের সঙ্গীর খুনের ঘটনায় ওই দম্পতির হাত থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। ১৯৯৯ থেকে এই ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড তারা চালিয়ে আসছে বলে মনে করছে পুলিশ।