সেন্ট পিটার্সবার্গ: ১৪ বছরের কারিনা কোজলোভা থাকে গণ্ডগ্রামে। স্কুল থেকে ফিরতে ফিরতে রোজ রাত আটটা বেজে যায় তার। শুধু তার কথা ভেবেই কার্যত নজিরবিহীন পদক্ষেপ করল রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ-মুরমানস্ক লাইনের ট্রেন। কারিনার বাড়ির কাছে একটি স্টেশনে নতুন করে থামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা, কারিনা যাতে সহজে স্কুল যেতে পারে।

কারিনা কোজলোভার বাড়ি পোয়াকোন্ডা নামে এক গ্রামে যেখানে বাসিন্দার মাত্র গোটাপঞ্চাশেক। স্কুলে যায় একা কারিনা। জেলেনোবর্স্কি গ্রামে তার স্কুল, সে যায় ঠাকুমা নাতালিয়া কোজলোভার সঙ্গে। এ জন্য রোজ ১ ঘণ্টার ট্রেন সফর করে কারিনা। কিন্তু বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত আটটা বেজে যায়।

ডিসেম্বরে শোনা যায়, বন্ধ হয়ে যাবে তাদের গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া যাবতীয় দূরপাল্লার ট্রেন। তাকে নিতে স্কুল বাসেরও আসা সম্ভব নয় কারণ তার গ্রামে পৌঁছনোর একমাত্র রাস্তা ১০ কিলোমিটার জঙ্গলের মধ্য দিয়ে যাওয়া।

মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে কাজ করেন কারিনার মা। তিনি রেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন, তাঁর মেয়ের শিক্ষার কথা ভেবে নতুন একটি স্টেশন চালু করতে। সেই অনুরোধ রেখেছে রেল। তাদের যাত্রা পথ থেকে বেশ কিছুটা দূরে কারিনার বাড়ির কাছে স্টেশনে থামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

বছরদুয়েক আগে জাপানেও এমন ঘটনার কথা শোনা যায়। গ্রামের একটি রেল স্টেশনে দিনে দুবার এসে দাঁড়ায় একটি ট্রেন। এক যাত্রীকে স্কুলে নিয়ে যায় তারা, আবার পৌঁছেও দিয়ে যায়।