লাহোর: ৯০ দিন গৃহবন্দি রাখা হবে হাফিজ মহম্মদ সঈদকে। মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ডের প্রতি কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে প্রয়োজনে এই মেয়াদ আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে পাকিস্তান। ৩০ জানুয়ারি থেকে ৯০ দিন বন্দি থাকতে হবে তাকে। পাশাপাশি হাফিজের জামাত-উদ-দাওয়া ও তার সহযোগী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধেও আরও কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। জামাত, সঈদের সেবামূলক সংস্থা ফালাহা-ই-ইনসানিয়াতের একাধিক সদস্য, কর্মীর নাম একজিট কন্ট্রোল লিস্টে ফেলা হয়েছে যাতে তারা আচমকা দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে। এদিকে সঈদকে আটক করা হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় স্বার্থে নেওয়া নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুসারেই, বলেছেন পাক সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর। দুএকদিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট দপ্তর এ ব্যাপারে আরও কিছু তথ্য জানাতে পারে এবং সেক্ষেত্রে ছবিটা আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


গতকাল রাতে সঈদ ও আরও ৪ জামাত নেতাকে ২৭ জানুয়ারির ফেডারেল অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের নির্দেশানুসারে পঞ্জাব প্রদেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের নির্দেশ মেনে মসজিদ আল-কুদসিয়া চৌবুরজিতে আটক করা হয়। পরে  তাদের নিয়ে আসা হয় জৌহর টাউনে সঈদের বাসভবনে। পঞ্জাব সরকার তার বাসভবনকে সাব জেল ঘোষণা করেছে।

তবে এতে দমবার পাত্র নয় সঈদ। গতকাল আটক হওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলন করার সুযোগ পেয়ে সে দাবি করে, আমাকে আটক করার নির্দেশ ইসলামাবাদ নয়, আমেরিকা থেকে এসেছে। তার হুঙ্কার, কেউ যদি ভেবে থাকে, আমায় গৃহবন্দি করে কাশ্মীরের স্বাধীনতার আন্দোলন দমানো যাবে, তবে সে মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। বরং আমার গ্রেফতারি কাশ্মীরের ভারত-বিরোধী আন্দোলনকে নতুন শক্তি জোগাবে। সে আরও বলে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যদি ভেবে থাকেন, তার গ্রেফতারির ফলে কাশ্মীরে  স্বস্তিতে থাকবেন, তবে তিনি বড় ভুল করবেন। সঈদের ঘোষণা, ২০১৭-কে কাশ্মীরীদের প্রতি সংহতির বছর ঘোষণা করেছি। লাহোর হাইকোর্টে তাকে আটক  রাখার পদক্ষেপকে  চ্যালেঞ্জ জানানোর ঘোষণাও করে সে।