লাহোর: জনজীবনে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলার মাথা হাফিজ মহম্মদ সঈদের গৃহবন্দি থাকার মেয়াদ আরও দু মাস বাড়াল পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশ প্রশাসন।


গত ৩১ জানুয়ারি থেকে গৃহবন্দি রয়েছেন জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান। গত এপ্রিলে তাঁকে গৃহবন্দি রাখার মেয়াদ তিন মাস বাড়ানো হয়।
১৯৯৭-এর সন্ত্রাস দমন আইনে ৯০ দিনের জন্য সঈদ ও তাঁর ৪ সহযোগী আবদুল্লা উবেইদ, মালিক জফর ইকবাল, আবদুল রেহমান আবিদ ও কাজি হুসেনকে আটক করেছিল পঞ্জাব সরকার।

২৭ জুলাই সঈদ ও বাকিদের আটক রাখার মেয়াদ ফুরোয়। ২৮ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তিতে পঞ্জাব সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানায়, সন্ত্রাস দমন শাখা বলেছে, সঈদ ও জামাত-উদ-দাওয়া, ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত গোষ্ঠীর অন্য নেতা, কর্মীরা মুক্তি পাচ্ছেন ধরে নিয়ে ওদের লোকজন দেশব্যাপী হাঙ্গামা করার প্ল্যান করেছে। সঈদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ হবে, তাঁকে হিরো বলে দেখিয়ে তাঁর কীর্তিকলাপ মহিমান্বিত করা হবে। এজন্য় তোড়জোড় করছে জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল রেহমান মাক্কি। কর্মী, সমর্থকদের সমর্থন চেয়ে সে গোপনে প্রচারও করছে। সুতরাং সঈদ মুক্তি পেলে দেশের শান্তি, সুস্থিতি নষ্ট হওয়ার বিপদ বহাল থাকবে।

লাহোরের জেলা গোয়েন্দা সংস্থাও আলাদা ভাবে রিপোর্ট দিয়েছে, সঈদ মুক্তি পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বিপন্ন করে তুলবেন। সঈদের কাজকর্ম জনজীবনে শান্তিশৃঙ্খলার পরিপন্থী বলে মনে করেন অতিরিক্ত স্বরাষ্ট্রসচিব আজম সুলেমানও। তাই স্বরাষ্ট্র দপ্তর ১৯৬০ সালের পঞ্জাব জনসুরক্ষা আইনের ধারা অর্পিত  প্রয়োগ করে সঈদকে ২৮ জুলাই থেকে আরও ৬০ দিন আটক রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ফলে বিচারপতি আবদুল সামি খানের নেতৃত্বাধীন লাহোর হাইকোর্টের বেঞ্চ সঈদ ও আরও ৪ জনের ব্য়াপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনির্দিষ্ট কালের জন্য় স্থগিত রাখল আজই সিদ্ধান্ত জানানোর কথা  ছিল বেঞ্চের।