ব্যাপার হল, ওই হোটেলে ভূতের ঘোরাফেরার ব্যাপারে অনলাইনে বেশ কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন ভুক্তভোগীরা। তারপরেও কোন বুদ্ধিতে এয়ার ইন্ডিয়া সেই হোটেলেই তাদের কর্মীদের রাখার চুক্তি করল তা বোধগম্য হচ্ছে না অনেকেরই।
চিঠিটি লিখেছেন ক্রুদের ডেপুটি চিফ অফ কেবিন। তাতে জানিয়েছেন, গত নভেম্বর থেকে তিনি এই হোটেলে আসছেন, প্রতিবার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হচ্ছে। ওই হোটেলে নিজেদের ঘরে অশরীরী উপস্থিতি তাঁরা প্রত্যেকে টের পেয়েছেন। সে অভিজ্ঞতা এমন ভয়ানক, স্নায়ুর ওপর চাপ সৃষ্টিকারী, তাঁদের কারও সাহস হয়নি নিজের ঘরে একা রাত কাটাতে। যদিও ঠিক কী ধরনের ভৌতিক কার্যকলাপের সম্মুখীন হতে হয়েছে, তার বিশদ বিবরণে যাননি তাঁরা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ভৌতিক অভিজ্ঞতার জেরে সারা রাত এক ফোঁটা ঘুম হয়নি তাঁদের। ফলে দীর্ঘ উড়ানের ক্লান্তির পর সামান্য বিশ্রামও তাঁরা পাচ্ছেন না।
কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে, যতক্ষণ না কোনও দুর্ঘটনা ঘটছে, ততক্ষণ অপেক্ষা করবেন না। ওই হোটেলের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ক্রুদের জন্য যত দ্রুত সম্ভব অন্য হোটেলের ব্যবস্থা করুন। ডেপুটি চিফ অফ কেবিন তো এ কথাও জানিয়েছেন, যতক্ষণ না হোটেল পাল্টানো হচ্ছে, ততক্ষণ তাঁকে যেন শিকাগো উড়ানের ডিউটি দেওয়া থেকে রাখা হয়।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করছে তারা।