টোকিও: বাবা মার বারণ না শুনে চলন্ত গাড়ি আর মানুষজনের দিকে ঢিল ছুঁড়েছিল ৭ বছরের ছেলেটি। তাই শাস্তি হিসেবে তাকে পাহাড়ের মাথায় ঘন জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে এসেছেন তার বাবা মা। জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপে শনিবারের এই ঘটনার পর কয়েকদিন কেটে গেছে। ইয়ামাতো তানুকা নামে ছেলেটি এখনও নিখোঁজ। ভালুক ভর্তি জঙ্গলে সে আদৌ বেঁচে আছে কিনা বা বেঁচে থাকলেও কোথায় আছে, কারও জানা নেই।
রবিবার রাত থেকে গোটা জঙ্গল ঢুঁড়ে ফেলছে পুলিশ। কিন্তু তানুকার এখনও খোঁজ মেলেনি। বাবা মা প্রথমে অবশ্য স্বীকার করেননি, ছেলেকে এমন ভয়াবহ শাস্তি দিয়েছেন তাঁরা। বরং দাবি করেছিলেন, বুনো শাকসবজির খোঁজে তাঁরা জঙ্গলে ঘুরছিলেন, তখন কোনওভাবে হারিয়ে গেছে ছেলেটি। পরে জেরার মুখে ভেঙে পড়ে মেনে নেন, তাঁরাই ঘটিয়েছেন এই ঘটনা। জানা গেছে, ইয়ামাতো, তার দিদি ও বাবা মা শনিবার ওই জঙ্গলের পাশে একটি পার্কে এসেছিলেন। সেখানে এসে দুষ্টুমি করে চলন্ত গাড়ির দিকে ঢিল ছুঁড়ছিল ইয়ামাতো। এতে প্রচণ্ড রেগে যান তার বাবা মা। বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে ছেলেকে জঙ্গলে নামিয়ে দেন তাঁরা। ৫০০ মিটারের মত ড্রাইভ করে চলে গিয়ে তারপর তাকে ফেরত নিতে আসেন। কিন্তু তখন আর সে সেখানে ছিল না।
১৮০জনের মত ত্রাণকর্মী ও পুলিশ গোটা এলাকা জুড়ে চালাচ্ছে তল্লাশি অভিযান। স্নিফার ডগ আর ঘোড়ার সাহায্যে জঙ্গলের গভীরে ঢোকা হয়েছে। এসেছে হেলিকপ্টারও। এমনকী রাতেও টর্চ জ্বালিয়ে ছেলেটিকে খোঁজা হচ্ছে। কিন্তু পুরোপুরি উধাও হয়ে গেছে কালো জ্যাকেট, গাঢ় নীল প্যান্ট ও লাল স্নিকার পরা ইয়ামাতো। তারপর ওই জঙ্গলে সারারাত ধরে প্রচণ্ড বৃষ্টি পড়েছে। হিংস্র পাহাড়ি ভালুকে ভর্তি জঙ্গলে কোনওরকম খাবার আর জল ছাড়া ছেলেটি এখনও বেঁচে আছে কিনা বলতে পারছেন না কেউ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বাবা মার বিরুদ্ধে সন্তানকে অবহেলার অভিযোগ আনার চিন্তাভাবনা করছে তারা।