ইসলামাবাদ: নওয়াজ শরিফের কট্টর অনুগামী বলে পরিচিত শাহিদ খাকান আব্বাসিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করল পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি।


আব্বাসির প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনজন। কিন্তু, তাঁদের সকলকে হারিয়ে প্রত্যাশামতোই পাক প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হলেন ৫৮ বছরের আব্বাসি। এদিনের ভোটেভুটিতে ৩৪২ ভোটের মধ্যে ২২১টি যায় আব্বাসির ঝুলিতে।


অন্যদিকে, পাকিস্তান পিপলস পার্টির নাভেদ কামার পান ৪৭ ভোট। আওয়ামি মুসলিম লিগ নেতা শেখ রশিদ আহমেদ পান ৩৩ ভোট। অন্যদিকে, জামাত-এ-ইসলামির শাহিবজাদা তারিকুল্লা পান মাত্র চারটি ভোট।


প্রসঙ্গত, আব্বাসিকেই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছিল নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। ফলে, তাঁর জয় একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। এজিন সন্ধ্যায় পাকিস্তানের অষ্টাদশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আব্বাস।


তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মামনুন হুসেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে হওয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের অসামরিক, সামরিক শীর্ষ কর্তাব্যক্তি এবং দেশী-বিদেশি কূটনীতিকরা।


তার আগে, জয়ের পর ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে প্রথম বক্তৃতা দিতে গিয়ে শরিফের প্রশংসা ও সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনা করেন আব্বাস। তিনি জানান, তাঁর জয় গণতন্ত্রের জয়। তিনি জানিয়ে দেন, সুপ্রিম কোর্ট হয়ত শরিফকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে, কিন্তু, তিনি মানুষের মনে আছেন।


শরিফকে এদিন ‘জনতার প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবেও উল্লেখ করেন আব্বাস। শরিফের নেতৃত্ব ও নীতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, আমি নিশ্চিত শরিফ ফের শীর্ষ মসনদে বসবেন।


প্রসঙ্গত, পানামা পেপার্স সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয় পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট। অসৎ আচরণের জন্য শরিফ প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলেও গত শুক্রবার রায় দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এরফলে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন শরিফ।