ইসলামাবাদ: কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে চাপ দিয়ে যেতে চান নওয়াজ শরিফ। শুক্রবার স্রেফ কাশ্মীর নিয়েই বিশেষ ক্যাবিনেট বৈঠক ডেকেছেন তিনি। লাহোরে গভর্নর্স হাউসের বৈঠকে বুরহান ওয়ানির ‘নৃশংস হত্যাকাণ্ডে’র পর কাশ্মীরের সমগ্র পরিস্থিতি ও সেখানকার নিরপরাধ নাগরিকদের ওপর ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর ‘দমনপীড়নমূলক কার্যকলাপ’ নিয়ে আলোচনা হবে, বলা হয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) থেকে দেওয়া বিবৃতিতে। জানানো হয়েছে, কাশ্মীরের ‘দ্রুত খারাপ হয়ে চলা পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি এ নিয়ে ‘ভবিষ্যত্ কর্মপন্থা’ও স্থির করবেন প্রধানমন্ত্রী।

 

বুরহানের মৃত্যুর পর প্রত্যাশিতভাবেই তাকে নিয়ে মাতামাতি করছে পাকিস্তান। হিজবুল কমান্ডারের মৃত্যুতে ‘শোক’ প্রকাশ করে বিবৃতি দেন শরিফ। সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানকে ঘরোয়া বিষয়ে নাক গলানো থেকে বিরত থাকতে বলে ভারত। তবে তাতে যে পাকিস্তান কর্ণপাত করছে না, তার প্রমাণ আজই লাহোরে পাক অধিকৃত পার্লামেন্টের বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যান তথা জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম ফজল-এর প্রেসিডেন্ট মৌলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকে শরিফ বলেন, ‘নৃশংস বলপ্রয়োগ, মানবাধিকার হরণ করে’ কাশ্মীরের মানুষের ‘কণ্ঠ, সংগ্রাম’কে স্তব্ধ করা যাবে না। রহমান তাঁকে জানান, জম্মু কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা, আধাসামরিক বাহিনীর ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের কী কথা হয়েছে সম্প্রতি। দুজনের বৈঠকের পর সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কাশ্মীরী নেতারা এই কঠিন সময়ে পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন রহমান।

শরিফ বলেন, পাক সরকার, জনগণ কাশ্মীরী ভাইদের অনুভূতিকে সম্মান করে, পরিণতি যা-ই হোক, তারা প্রতিটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীরকে সমর্থন করে যাবে। একমাত্র রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রস্তাব অনুসারে নিরপেক্ষ, অবাধ গণভোটের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার পেলেই কাশ্মীর বিতর্কের সমাধান হওয়া সম্ভব।

পাক বিদেশ সচিবও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের কাশ্মীর পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করেছেন। তিনি জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ওআইসি দেশগুলির ইসলামাবাদের দূতদের সঙ্গেও এ ব্যাপারে কথা বলেছেন।