টোকিও: কেন এমন করলেন? শিনজো আবে (shinzo abe) হত্যায় অভিযুক্ত তেতসুয়া ইয়ামাগামিকে (tetsuya yamagami) বার বার একই প্রশ্ন করছিলেন তদন্তকারীরা। কারণটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল না। তবে সম্ভবত শনিবার তার কিছুটা আঁচ মিলল। তেতসুয়ার বিশ্বাস, যে ধর্মীয় সংগঠনের (religious organization) জন্য তাঁর মাকে (mother) আর্থিক দিক থেকে সর্বস্বান্ত (bankrupt) হতে হয়েছিল তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
খুনের কারণ কি ব্যক্তিগত আক্রোশ?
তবে কি ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে খুন? সংবাদসংস্থা রয়টার্সের দেওয়া এই তথ্য মানলে অন্তত সেরকমই মনে হয়। তেতসুয়ার পড়শিদের সঙ্গে কথা বলে রয়টার্সের দাবি, একাচোরা স্বভাবের ওই যুবক খুব একটা মেশামেশি করতেন না। কেউ যেচে কথা বলতে গেলেও উত্তর দিতেন না। তবে তিনি যে এমন কিছুর ছক কষছেন সেটা কল্পনাও করতে পারেননি কেউ।
সূত্রের খবর, আবে-কে শেষ করতে প্রথমে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করেছিলেন তেতসুয়া। পরে বন্দুক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। যে ভাবে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে শিনজো আবের উপর তিনি গুলি চালিয়েছেন, তাতে অনেকেই স্তম্ভিত। সবচেয়ে বড় কথা, হামলার পর সে ভাবে পালানোরও চেষ্টা করেননি তিনি। সবটা মিলিয়ে ধাঁধা অনেকটা জুড়েই।
খুনের পরিকল্পনা আগে থেকেই
তবে অভিযুক্তের যুক্তি, তাঁর মা যে সংগঠনটিকে অনুদান দিতে গিয়ে কার্যত দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলেন সেটিরই পৃষ্ঠপোষক ছিলেন আবে। রাজনৈতিক মতাদর্শের বিরোধিতা নয়, এই কারণেই হামলা। ধারণা জাপানের একাংশের। সূত্রের খবর, হামলার জন্য কয়েক মাস ধরে ছক কষেছিলেন তেতসুয়া। যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা, সেটির বিভিন্ন অংশ আলাদা করে অনলাইনে কেনেন। তার পর অস্ত্রটি নিজের হাতে বানান। এমনকী ঘটনার আগে আবের অন্য একটি প্রচার অনুষ্ঠানেও যান। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর চলাফেরার খুঁটিনাটি বুঝে নিতেই কি এত পর্যবেক্ষণ?
বুঝতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন:ভাঙড়ের বাসিন্দার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ! শিউরে উঠল রাজারহাটবাসী