কলম্বো: দেশজুড়ে অস্থিরতার মধ্যে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka Crisis) প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের (Ranil Wickremesinghe)। সুষ্ঠ ভাবে সরকার যাতে পরিচালিত হয়, নাগরিকরা যাতে থাকেন, তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। ট্যুইটারে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
গণবিক্ষোভের মধ্যে ইস্তফা শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর
শনিবার কলম্বোর রাস্তায় জনসমুদ্র নেমে এসেছে। প্রেসিডেন্টের বাসভবনেও ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। গোতাবায়া রাজাপক্ষের ইস্তফার দাবিতে সরব গোটা দেশ। এমন পরিস্থিতিতে মন্ত্রিসভার সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন রনিল। তার পর ট্যুইটারে পদত্যাগের ঘোষণা করেন।
পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে গিয়ে ট্যুইটারে রনিল লেখেন, ‘‘সরকারি যাতে সুষ্ঠ ভাবে পরিচালিত হয়, নাগরিকরা যাতে নিরাপদে থাকেন, তাই দলের নেতাদের কথা মেনে নিয়েছি আমি, যাতে দেশে সর্বদলীয় সরকার গঠিত হয়। তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেব আমি।’’
আরও পড়ুন: Viral Video: গা ঢাকা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, খালি পড়ে বাসভবন, সুইমিং পুলে আহ্লাদ প্রতিবাদীদের
শ্রীলঙ্কার সাংসদ হর্ষ ডি সিলভা জানিয়েছেন, দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতৃত্ব রনিলের পদত্যাগে সায় দেন। পরবর্তী ৩০ দিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্পিকার দায়িত্ব নিন বলেও একমত সকলে। পরে পার্লামেন্টে সাংসদদের মধ্যে থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হবে কাউকে। আগাম কয়েক দিনের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হবে বলেও জানা গিয়েছে।
তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটের (Sri Lanka Economic Crisis) মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, চাল-ডালে টান পড়েছে গৃহস্থের। দাবি উঠছে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের ইস্তফার। অথচ পদ ছাড়তে এখনই রাজি নন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে, শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় আছড়ে পড়েছে জনসমুদ্র। হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মানুষ, বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে এসে হাজির হয়েছেন।
বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো
শনিবার তাঁরা প্রেসিডেন্টের বাসভবনের উদ্দেশে রওনা দেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ পেরিয়ে, ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়েন ভিতরে। কিন্তু সেখানে গোতাবায়ার দেখা পাননি তাঁরা। বিপদ বুঢে শুক্রবার রাতেই তিনি বাসভবন ছেড়ে গা ঢাকা অজ্ঞাত স্থানে রওনা দেন বলে জানিয়েছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম।