লন্ডন: জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট-এর কম্যান্ডার ‘নতুন জিহাদি জন’ বলে সন্দেহের তালিকায় উঠে আসা ব্রিটিশ বাঙালি সিদ্ধার্থ ধরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এল নতুন অভিযোগ।


সম্প্রতি, এক ব্রিটিশ দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সেদেশেরই এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক ইয়াজিদি মহিলা দাবি করেছেন, সিদ্ধার্থ তাঁকে অপহরণ করে পাচার করেছিল। নিহাদ বরাকত নামে ওই মহিলাকে কিছুদিন আগে উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, দীর্ঘদিন তাঁকে যৌন ক্রীতদাসী হিসেবে রাখা হয়।

সাক্ষাৎকারে ওই মহিলা জানান, যখন তাঁকে কিরকুকের কাছে অপহরণ করা হয়, তাঁকে জঙ্গিগোষ্ঠীর গড় বলে পরিচিত মোসুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আইএস-এর নেতার সামনে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। ওই নেতার নাম আবু ধর বলে জানান নিহাদ।

প্রসঙ্গত, আইএস-এ যোগ দিতে সিরিয়া যাওয়ার আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সময় নিজের নাম পাল্টে আবু রুমায়েশা রাখে সিদ্ধার্থ। ২০১৪ সালে ব্রিটিশ পুলিশের জামিন এড়িয়ে সে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে পালায় সিরিয়ায়।

কিন্তু, আবু ধর ও সিদ্ধার্থ কী একই ব্যক্তি? ওই পত্রিকার মতে, এটা প্রমাণ করা এখনই কঠিন। তবে, তাদের দাবি, ওই বৈদ্যুতিন মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের সময়ে সিদ্ধার্থর ছবি দেখে তাকে চিনে ফেলেন। তবে, একইসঙ্গে প্রচণ্ড ভীত হয়ে যান। সিদ্ধার্থর ছবি দেখে প্রায় পাথরের মতো হয়ে গিয়েছিলেন মহিলা। এই বিষয়ে প্রশ্ন করায় তিনি উত্তেজিতও হয়ে পড়েন বলে দাবি করে ওই পত্রিকা।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলির তথ্য অনুযায়ী, সিদ্ধার্থ এখন মোসুলেই আছে। ড্রোন হামলায় আইএস-এর আসল ‘জেহাদি জন’ মহম্মদ এমওয়াজির মৃত্যুর পর ‘নতুন জিহাদি জন’ হিসেবে সিদ্ধার্থ তার জায়গা নেয়। আইএস-এর প্রচারিত পণবন্দিদের হত্যার ভিডিওতে তাকেই দেখা যায়। তার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ গুপ্তচরদের হত্যা করার অভিযোগও উঠেছে।

যদিও, সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে লন্ডনে বসবাসকারী সিদ্ধার্থর পরিবার। তার বোন কণিকা ধর ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ তথা হাউস অফ কমন্স-এর স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সামনে হাজির হয়ে দাবি করে, ওই ভিডিওতে দেখতে পাওয়া মুখোশ-পরা ব্যক্তির ছবির সঙ্গে তাঁর দাদার মুখের কোনও মিলই নেই!

আইনের ছাত্রী কণিকা আরও জানান, তাঁর ভাই যে আইএস জঙ্গি, তা তিনি বিশ্বাস করেন না।