ওয়াশিংটন: সিঁদুরের মধ্যে থাকতে পারে মাত্রাতিরিক্ত সীসা। যে সীসা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক গঠনের পথে অন্তরায় হতে পারে। এমনই আশঙ্কার কথা উঠে এল একটি মার্কিন গবেষণায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রুটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, এই পরীক্ষায় ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সিঁদুরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
গবেষক দলের দাবি, আমেরিকা থেকে প্রাপ্ত ৮৩ শতাংশ এবং ভারত থেকে প্রাপ্ত ৭৮ শতাংশ নমুনার প্রতি এক গ্রাম সিঁদুরে অন্ততপক্ষে ০.১ মাইক্রোগ্রাম সীসা পাওয়া গিয়েছে।
অন্যদিকে, নিউজার্সি থেকে প্রাপ্ত ১৯ শতাংশ নমুনা এবং ভারত থেকে প্রাপ্ত ৪৩ শতাংশ নমুনার প্রতি এক গ্রাম সিঁদুরে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) নির্ধারিত ২০ মাইক্রোগ্রামের ঊর্ধ্বসীমার বেশি সীসা পাওয়া গিয়েছে।
এই দলের অন্যতম সদস্য ডেরেক শেনডেল বলেন, এমনিতে সীসার কোনও নিরাপদ সীমা হয় না। তাই আমাদের মতে, যতক্ষণ না সিঁদুর একেবারে সীসা-মুক্ত হচ্ছে, ততদিন মার্কিন মুলুকে তার বিক্রি বন্ধ হওয়া উচিত।
গবেষকরা সিঁদুরের মোট ১১৮টি নমুনা পরীক্ষা করেছেন। এর মধ্যে, ৯৫টি নমুনা নিউজার্সির দক্ষিণ এশিয়া স্টোর থেকে প্রাপ্ত। ২৩টি নমুনা মুম্বই ও নয়াদিল্লি থেকে প্রাপ্ত।
গবেষকরা জানান, এখনও পর্যন্ত যে ফলাফল মিলেছে, তা নমুনার এক-তৃতীয়াংশ পরীক্ষা করেই পাওয়া গিয়েছে। প্রসঙ্গত, সিঁদুর নিয়ে সাধারণ সতর্কবাণী জারি করেছে মার্কিন এফডিএ। তবে, এখনও তা নিষিদ্ধ করা হয়নি। যেমনটা করা হয়েছে কাজলের ক্ষেত্রে।
গবেষকদের দাবি, সিঁদুরের কু-প্রভাব বুঝতে দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ভুক্ত পরিবারগুলির শিশুদের পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন যে, তাদের শরীরের মধ্যে অতিরিক্ত সীসা মিলছে কি না।
তাঁরা আরও জানান, সিঁদুরে সীসার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ন্যূনতম নজরদারি প্রয়োজন। সিঁদুরের ক্ষতিকারক দিকগুলি সম্পর্কে জনমানসে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।