কাঠমাণ্ডু ও নয়াদিল্লি: কোথায় আছেন ‘পাপা কি পরী’ হনিপ্রীত ইনসান?


সম্প্রতি, তাকে নেপালের ধরান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর প্রচারিত হয়। যদিও, সেই খবরের সত্যতা নেই বলে দাবি করেছে নেপালি পুলিশ। হনিপ্রীতের খোঁজে ভারত-নেপাল সীমান্ত লাগোয়া উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ এবং সংলগ্ন জেলায় জোর তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য গোয়েন্দাদের টিম গত কয়েকদিন ধরে মহারাজগঞ্জে কার্যত হত্যে দিয়ে পড়ে রয়েছে। সীমান্তে যাতায়াতের ওপর তাদের তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে।


এর আগে কয়েকটি নেপালি সংবাদমাধ্যমে দারি করা হয়, নেপাল থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে হনিপ্রীতকে। নেপালের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সেদেশের ধরান থেকে হনিপ্রীত ইনসানকে গ্রেফতার করেছে নেপালি পুলিশ। জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়েই সাদা পোশাকে হানা দেয় নেপাল পুলিশের একটি দল। সঙ্গে ছিল ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (আইবি)-র একটি বিশেষ টিম। ধরান অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয় হনিপ্রীতকে।


ডেরা সচ্চা সৌদা গুরমীত রাম রহিমের জেলে যাওয়া ইস্তক বেপাত্তা ছিলেন হনিপ্রীত। বিভিন্ন সূত্রে মারফৎ পুলিশের কাছে খবর আসছিল যে, হনিপ্রীতকে ধারান, ইটাহারি ও বিরাটনগরে দেখা গিয়েছে। তার খোঁজে এর আগে নেপাল সীমান্তে গেলেও, তাঁকে সেখানে পাওয়া যায়নি। খবরে প্রকাশ, প্রতিনিয়ত জায়গা পাল্টে আত্মগোপন করেছিলেন হনিপ্রীত। নেপাল সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় হনিপ্রীতের পোস্টার সাঁটা হয়। সেখানে বলা হয়, দেখামাত্র যেন পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পাশাপাশি, সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) আউটপোস্টগুলিকেও সতর্ক করা হয়।


এদিকে, নেপালি সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি করা হয়, ধরার পর হনিপ্রীতকে ইতিমধ্যেই আইবি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। নেপালি সংবাদমাধ্যমের দাবি, সেদেশের এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, হনিপ্রীতের নেপাল-অধ্যায় শেষ হয়েছে। হনিপ্রীত নেপালে নেই। খুব শীঘ্রই ভারতের তরফে সব কিছু জানানো হবে। যদিও, পরে, নেপাল পুলিশ হনিপ্রীতের গ্রেফতার হওয়ার খবরকে অসত্য বলে দাবি করে।