তদন্তে নেমে সেখানকার পুলিশ জানতে পারে, মাত্র পাঁচ মাসে শেরিনের দেহে ২৬টি এক্স-রে হয়েছিল। যে চিকিত্সক শেরিনকে দেখেছিলেন, তিনি মঙ্গলবার আদালতে দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দেন। তিনি জানান, এই বছর জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে ফিমার, টিবিয়া এবং কনুইয়ের হাড় ভেঙে যায় শেরিনের। তারপর ফের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে আরও একাধিক জায়গায় আঘাত লাগে, সঙ্গে শরীরের ওজন অস্বাভাবিকমাত্রায় কমে যাচ্ছিল শিশুটির। চিকিত্সকের সন্দেহ হওয়ার পরই জুলাই থেকে ক্লিনিকে আসা বন্ধ করে দেয় ম্যাথিউজ দম্পতি।
সাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সিপিএস-এর এক তদন্তকারী আধিকারিক। কেলি মিশেল ৯ অক্টোবর রাত একটার সময় ম্যাথিউজ দম্পতির বড় মেয়েকে বাড়ি থেকে সরিয়ে আনতে গিয়ে দেখেছিলেন, শিনি অত্যন্ত নির্লিপ্ত। শেরিন সম্পর্কে একটা কথাও উচ্চারণ করেননি। বড় মেয়ের জন্যে একবারও কাঁদেনি। এমনকি বাচ্চা মেয়েটিও একবারও কাঁদেনি, বরং সহযোগিতা করেছিল বাড়িত থেকে সিপিএস সদস্যদের সঙ্গে বেরিয়ে আসতে। এদিকে বাড়িতে বায়োলজিক্যাল কন্যার একাধিক ছবি থাকলেও, শেরিনের কোনও ছবি ছিল না। এপ্রসঙ্গে সিনির আইনজীবীর মত, শেরিনকে দেখতে অত্যন্ত খারাপ ছিল। কোনও অ্যাঙ্গেল থেকে ভাল লাগত না। তাই ছবি রাখা হয়নি।
পরবর্তী সাক্ষ্যদানের জন্যে উইটনেস বক্সে আসেন রিচার্ডসন পুলিশের গোয়েন্দা জুলস ফার্মার। তিনিই ম্যাথিউজের এই মামলার মূল তদন্তকারী আধিকারিক। তাঁর দাবি, প্রথম থেকেই সিনি এবং ওয়েসলির বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ছিল। এমনকি পুলিশ দম্পতির বড় মেয়ের সঙ্গে দুবার কথা বলে জানতে পারেন, সেদিন দুপুরে বাবা-মায়ের সঙ্গে সে খেতে গিয়েছিল। ডিনারের ব্যাপারে শিশুটি কোনও উল্লেখ করেনি। ওয়েসলি নিজের মোবাইলের জিপিএস বন্ধ করে দিয়েছিল গত ৭ অক্টোবর। কিন্তু পুলিশ যখন সেই তথ্য ওয়েলসিকে দেয়, তখন সে বেশ কিছুটা চমকে গিয়েছিল বলে জানান ফার্মার। তবে ফার্মারের কাছে ওয়েসলি জানায়, সে একটি ময়লার প্যাকেটে শেরিনের দেহ ঢুকিয়ে কালভার্টের কাছে ফেলে দিয়ে এসেছিল। আপাতত টক্সিকোলজি ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এসে পৌঁছয়নি পুলিশের। ম্যাথিউজের বাড়ির বহু জিনিষ পরীক্ষার জন্যে পাঠিয়েছে রিচার্ডসন পুলিশ।