কাশ্মীর নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পর্রীকর বলেন, কাশ্মীরের কথা যদি ধরা হয়, সেখানে হিংসা ছড়ানো হচ্ছে সীমান্তের ওপার থেকে। তার মোকাবিলায় ভারত সরকার খুবই সক্রিয়, তত্পর। মুষ্টিমেয় কিছু লোকজন সংখ্যাগরিষ্ঠ বাসিন্দাদের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি কাশ্মীরে কার্ফু ইতিমধ্যে তুলে নেওয়া হয়েছে, সেখানে এক সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল যাচ্ছে বলেও সাংবাদিকদের জানান। বলেন, কাশ্মীরে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় রয়েছে।মুখ্যমন্ত্রীও উপত্যকারই।
সাংবাদিক সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলাকে ভারত ও আমেরিকা, দু দেশই গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য বলে স্থির করেছে বলেও জানান পর্রীকর। বলেন, সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার শপথ নিয়ে আমরা। আমাদের দুটি দেশের উদার, বৈচিত্র্যে ভরা সমাজ শান্তির প্রতি দায়বদ্ধ। তবে আমেরিকা দেখিয়ে দিয়েছে যে, সন্ত্রাসবাদের সামনাসামনি পড়লে কোনও সমঝোতা, আপসই চলতে পারে না। যেসব শক্তি আমাদের প্রগতি, জীবনযাত্রা স্তব্ধ করে দিতে চায়, তাদের কড়া, উপযুক্ত জবাব দেওয়া প্রয়োজন। ঘরের কাছে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে ভারতের প্রয়াসে আমেরিকার সমর্থনের প্রশংসা করি। সেক্রেটারি কার্টার এবং আমি একমত যে, সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা আমাদের দু পক্ষেরই গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। দুটি দেশ যেসব একক মূল্যবোধ, স্বার্থ নিয়ে চলে, সেগুলিই ভারত-মার্কিন বোঝাপড়াকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ বছরের জুনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ঘিরে যে উচ্ছ্বাস মার্কিন কংগ্রেস দেখিয়েছে, তাতেই এর প্রতিফলন রয়েছে।
পাশাপাশি কার্টারও এক প্রশ্নের জবাবে গত বছরের পঠানকোট হামলার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, শুধু ভারতের সাধারণ মানুষ নন, সে দেশের সামরিক শক্তিও সন্ত্রাসবাদের হাতে আক্রান্ত হয়েছে।