ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের ভোটে বিপুল সাফল্য ইমরান খানের। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ২৭২টি আসনে ভোটে লড়া তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক ইনসাফ (পিটিআই) ১২০টিতে এগিয়ে রয়েছে। তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) ৬৫ আসনে এগিয়ে। ফলাফলের প্রবণতায় স্পষ্ট, ক্ষমতা দখলের পথে এগিয়ে চলেছেন ইমরান। পাক রাজনীতিতে আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়তে অভ্যস্ত সেনাবাহিনীর সমর্থন তাঁর সঙ্গে আছে বলে শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যেই ৬৫ বছরের প্রাক্তন পাক বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেট দলের অধিনায়ককে সরকারি ঘোষণার আগেই পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বলে উল্লেখ করে অভিনন্দন জানালেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী, ব্রিটিশ মহিলা জেমাইমা খান। ৪৪ বছরের জেমাইয়া আগেই একগুচ্ছ ট্যুইটে তাঁর সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করেন। আজ বলেন, আমার দুই বাচ্চার বাবা পাকিস্তানের ভাবী প্রধানমন্ত্রী।
ট্যুইটে জেমাইমা লিখেছেন, ১৯৯৭-এ ইমরান খানের প্রথম নির্বাচনের কথা মনে পড়ছে। তখন ও পরীক্ষিত হয়নি। আদর্শ ছিল, কিন্তু রাজনৈতিক বোধ-বুদ্ধিতে শিশু। ৩ মাসের সুলেইমানকে নিয়ে লাহোরে ওর ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম। হঠাত্ এল ওর ফোন, বলল, একেবারে ধুয়েমুছে সাফ। আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম, অন্য পক্ষের অনুকূলে। ও গর্জে উঠল বিরাট হাসি দিয়ে। ২২ বছর বাদে অপমান, বাধাবিঘ্ন, ত্যাগের পর আমার ছেলেদের বাবা পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। অসীম ধৈর্য্য, লেগে থাকা, গভীর বিশ্বাস ও পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকার করার এক অবিশ্বাস্য শিক্ষা। কেন ও রাজনীতিতে প্রথম বার নামতে গেল, সেটা মনে করাই এখন চ্যালেঞ্জ। অভিনন্দন।
ইমরানের দুই ছেলে সুলেইমান ইসা খান ও কাসি খানের মা জেমাইমার পাক রাজনীতিতে কৌতূহল প্রবল। গতকালও দিনের শুরুতেই তিনি ট্যুইট করেন, হ্যাপি ইলেকশন ডে পাকিস্তান। সুন্দর, পাগল করা প্রিয় পুরানো বন্ধু। আশা করছি, আপনাদের ভোট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। আপনারা পছন্দের বিশ্বস্ত নেতা পাবেন। পাকিস্তান জিন্দাবাদ!
১৯৯৫-এ তরুণী জেমাইমাকে বিয়ে করেন ইমরান। ২০০৫-এ দুজনের বিচ্ছেদ। জেমাইমা লাহোর থেকে লন্ডন ফিরে যান। তবে দুই ছেলের সূত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়নি। গত বছর ইসলামাবাদ শহরতলির বানি গালা এস্টেট ঘিরে আইনি সমস্যায় জড়ানো ইমরানকে সাহায্য করেছিলেন জেমাইমা।