ইসলামাবাদ:  পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে হালে পানিই পেল না হাফিজ সইদ ও তার দল আল্লাহ-উ-আকবর তেহরিক। ভোটের ফলের সর্বশেষ প্রবণতা অনুযায়ী, জামাত-উদ-দাওয়ার মূল মাথা তথা মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজের দলের কেউই জিততে পারেননি।  সারগোধাতে নিজের শহরই খালি হাতে ফেরাল হাফিজকে। সারগোধা-র এনএ-৯১ আসনে প্রার্থী  হাফিজের ছেলেও ভোটগণনায় পিছিয়ে।

নিষিদ্ধ সংগঠন জামাতের রাজনৈতিক শাখা মিল্লি মুসলিম লিগ (এমএমএল) জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে আল্লাহ-উ-আকবর তেহরিকের ব্যানারে ২৬০ জন প্রার্থী দিয়েছিল। কারণ, এমএমএল-কে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছিল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।

আল্লাহ-উ-আকবর তেহরিকের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন হাফিজের জামাতা খালিদ ওয়ালিদও।

গত বুধবার ভোট দিয়ে হাফিজ  ‘পাকিস্তান আদর্শে’র জন্য ভোটদানের আর্জি জানিয়েছিলেন। সাধারণ নির্বাচনে প্রচুর সংখ্যায় ইসলামিক মৌলবাদীদের যোগদান নিয়ে সারা দেশেই উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের আম জনতা  কট্টরপন্থীদের  খালি হাতেই ফেরালেন।
২০১৪-র জুনে জামাতকে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে আমেরিকা। হাফিজের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা ২০০৮-এ মুম্বই নৃশংস হামলার জন্য দায়ী। ওই হামলায় ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত থাকায় হাফিজের মাথার দাম ১০ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করা হয়েছে।