নয়াদিল্লি:  পুরুষ মানুষ কী পারেন সন্তানের জন্ম দিতে? বিজ্ঞানীদের দাবি, অবশ্যই পারেন। অন্তত এমন জল্পনাই উস্কে দিল নতুন গবেষণা।

সভ্যতা ও প্রযুক্তির ওপর ভর করে মানুষ এমন এক পরীক্ষা করতে চলেছে, যা প্রকৃতির নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখাতে পারে। এক গবেষণায় উঠে এসেছে, বিশেষ নিয়মে দুজন পুরুষ মানুষ সন্তানের জন্ম দিতে পারেন।

প্রচলিত নিয়মানুসারে, সন্তান জন্মানোর জন্য প্রয়োজন হয় একটি ডিম্বানু ও একটি শুক্রাণুর। ডিম্বানু নারীর শরীরে তৈরি হয়। অন্যদিকে, শুক্রাণু সঞ্চারিত হয় পুরুষ মানুষের শরীরে।

সাধারণত, ডিম্বানুকে শুক্রাণু দিয়ে ফার্টিলাইজ (প্রজনন) করতে হয়। তবেই গর্ভ সঞ্চারিত হয়। এক্ষেত্রে, গবেষকদের মতে, ডিম্বানুর পরিবর্তে ত্বকের কোষ ব্যবহার করা হবে।

তাঁদের দাবি, ত্বক-কোষ ও শুক্রাণু দিয়ে ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতি সম্ভব। ফলে, পুরুষরাও সন্তানের জন্ম দিতে পারেন!

গোটা বিষয়টিই রয়েছে গবেষণার স্তরে। সেখানে ইঁদুরের ওপর এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সাফল্য এসেছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।

গবেষকদের দাবি, শুধুমাত্র ত্বকের কোষই নয়, অন্য যে কোনও কোষ দিয়েই এই প্রজনন সম্ভব। এধরনের গর্ভ সঞ্চার হওয়ার ক্ষেত্রে মহিলাদের কোনও ভূমিকাই থাকবে না।

গবেষকদের দাবি, তেমনটা হলে ভবিষ্যতে সমকামী পুরুষরাও নিজেদের সন্তানলাভ করতে পারবেন।

এখানেই শেষ নয়। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, শুধু পুরুষরা নন, একইভাবে মহিলারাও নিজেরাই গর্ভধারণ করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে, তাঁদের শরীরের ডিম্বানুর সঙ্গে অন্য কোনও কোষের মেলবন্ধন করে প্রজনন প্রক্রিয়া করা সম্ভব।

এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিপন্ন প্রজাতির সংরক্ষণ এবং প্রজনন সম্ভব বলেও দাবি করেছেন গবেষকরা।

এছাড়া, যেখানে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া সম্ভব নয়, সেখানে এই প্রক্রিয়াকে ‘বিকল্প’ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।