নয়া দিল্লি: ৯০ বছর বয়সে চিরবিদায়। বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতা, দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) নোবেলজয়ী (Nobel laureate ) আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুর (Desmond Tutu) জীবনাবসান। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা রবিবার এক বিবৃতিতে ডেসমন্ড টুটুর মৃত্যুর খবর দেন। সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনেও এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বর্ণবাদে যখন জেরবার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, সেই কঠিন লড়াইয়ে সামিল হয়েছিলেন ডেসমন্ড টুটু। বর্ণবাদের অবসানে তাঁর সেই লড়াই আজও স্মরণীয়। এক সুদীর্ঘ লড়াই থামল অবশেষে। তাঁর জনপ্রিয়তা কেবল দক্ষিণ আফ্রিকায় নয়, বিশ্বে স্বীকৃত। দেশ-বিদেশের অন্যতম পরিচিত ব্যক্তিত্ব তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এক বিবৃতিতে বলেছেন, "এক অসামান্য ব্যাক্তিত্ব ছিলেন। আফ্রিকানদের একটি প্রজন্মের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল। তাঁর মৃত্যু আমাদের গোটা জাতির কাছে শোকের দিন। দক্ষিণ আফ্রিকার এক অধ্যায়ের সমাপ্তি হল। এই দেশকে স্বাধীন করতে ওঁর অবদান অনেক।"
ডেসমন্ড টুটু ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ধর্মযাজক ও অধিকার আন্দোলন কর্মী। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। ১৯৪৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গ সংখ্যাগরিষ্ঠদের বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘু সরকাররের বৈষম্যে নীতির অবসানের আন্দোলনে অন্যতম চালিকাশক্তি ছিলেন টুটু।
১৯৩১ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালের ক্লের্কড্রপ জন্মগ্রহণ করেন ডেসমন্ড টুটু। এরপর লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে ধর্মতত্ত্বে ডিগ্রি লাভ করেন। পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যান তিনি। এরপর ধর্মতত্ত্ব পড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। শিক্ষকতা থেকে এরপর ধীরে ধীরে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। বর্ণবৈষম্য প্রথা বিলুপ্তিকরণের কাজের জন্য ১৯৮৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন ডেসমন্ড টুটু।