ফ্লোরিডা: ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে চার মহাকাশ পর্যটক নিয়ে রওনা দিল স্পেস এক্সের 'ইনস্পিরেশন ৪'। পৃথিবীর কক্ষপথে এটি বিশ্বের প্রথম নাগরিক মহাকাশ অভিযান।
একঘেয়েমি কাটাতে ভবিষ্যতে কোনওদিন ঘুরেই আসতে পারেন মহাকাশে। পর্যটক হিসেবে চড়ে বসতে পারেন স্পেস এক্সের রকেট ক্যাপসুলে। এদিন মধ্যরাতে ফ্লোরিডার কেপ কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে চার নাগরিককে নিয়ে রওনা দেয় স্পেস এক্সের 'ফ্যালকন ৯' রকেট।
টিকিট কিনে ব্যবসায়ী ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেস এক্সের 'ড্রাগন' মহাকাশযানে সওয়ার হয়েছেন আমেরিকান ধনকুবের জ্যারেড আইজ্যাকম্যান।
তিনদিনের স্পেস ট্রিপে শখের মহাকাশচারী আইজ্যাকম্যানের সঙ্গী হয়েছেন ২৯ বছরের ক্যান্সার জয়ী হ্যালে আরসেনক্স, ভূ-বিজ্ঞানী সিয়ন প্রোক্টর ও মার্কিন বিমান বাহিনীর প্রাক্তন সদস্য ক্রিস সেমব্রোস্কি।
ফ্যালকন ৯ রকেটের রকেটের উপরে অবস্থিত ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলের রেজিলিয়েন্স-এর প্রেসারাইজড কেবিন থেকে স্পেসএক্স ওয়েবকাস্টে চারজনকে হেলমেট ও সাদা-কালো ফ্লাইট স্যুট দেখা যায়। উড়ানের আগে চারজন থাম্বস আপ দেখাচ্ছেন।
স্পেস এক্স-এর তরফে পরে ট্যুইট করে জানানো হয়, ড্রাগন এবং ইনস্পিরেশন ৪-এ সওয়ার মহাকাশচারীরা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে মহাকাশে পৌঁছেছে। এখন পর্যায়ক্রমে ৫৭৫ কিলোমিটারের ক্রুজিং কক্ষপথে পৌঁছবে চার নভোচারী। আগামী তিনদিন তাঁরা পৃথিবীর প্রদক্ষিণ করবে।
এটি হল মহাকাশাভিযানের ইতিহাসে সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে শূন্যে পাড়ি দেওয়া প্রথম অভিযান। এই যাত্রায় চার মহাকাশ-পর্যটক পৃথিবীর কক্ষপথে তিনদিন ঘুরে বেড়াবেন।
মহাকাশযানটি যখন পৃথিবী থেকে প্রায় ১২৫ মাইল উপরে ওঠার পর, আইজাকম্যান একটি বিবৃতি পড়েন। যাতে তিনি এই ইতিহাস সৃষ্টি করে তোলা এমন প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এক উত্তেজক এবং অনাবিষ্কৃত সীমান্তের দুয়ারে দাঁড়িয়ে, যেখানে কয়েকজন আগে এসেছেন এবং অনেকে অনুসরণ করতে চলেছেন। দরজা এখন খোলা, এবং এটা বেশ অবিশ্বাস্য।