মস্কো: গত বছর করোনা অতিমারী রোখার জন্য সবার আগে স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন তৈরি করেছিল রাশিয়া। এবার তারাই সিঙ্গল ডোজ লাইট ভ্যাকসিন নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে। এই পরীক্ষা ৭৯.৪ শতাংশ সফল বলে জানিয়েছেন নির্মাতারা। তাঁদের আরও দাবি, করোনার যত নতুন স্ট্রেন দেখা যাচ্ছে, সবগুলিই প্রতিরোধ করতে সক্ষম এই ভ্যাকসিন।


রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘প্রয়োগ করার পর ২৮ দিন ধরে পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, সিঙ্গল ডোজ স্পুটনিক লাইট ভ্যাকসিন ৭৯.৪ শতাংশ সাফল্য পেয়েছে। অনেক দুই ডোজের ভ্যাকসিনের চেয়েও এই সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিনের সাফল্যের হার বেশি। প্রায় ৮০ শতাংশ সাফল্য চমকপ্রদ। গামালেয়া সেন্টারের তৈরি এই ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের নতুন সব ধরনের স্ট্রেন প্রতিরোধ করতে সক্ষম বলে প্রমাণিত হয়েছে।’


রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের সিইও কিরিল দিমিত্রিয়েভ জানিয়েছেন, ‘রাশিয়ার যে নাগরিকদের উপর সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেই নতুন ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বিচার করা হয়েছে। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ১৫ এপ্রিলের মধ্যে যাঁরা বিভিন্ন কারণে একবারই করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের উপরেই পরীক্ষা চালানো হয়েছে। স্পুটনিক লাইট ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার ফলে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। শুধু একবার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যে বহু মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। করোনাভাইরাস যকন দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন এটা অত্যন্ত জরুরি। দ্রুত হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তোলা দরকার।’


দিমিত্রিয়েভ আরও জানিয়েছেন, অন্য দেশগুলিতেও করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্য পাওয়া যায় এবং করোনার নতুন স্ট্রেন রোখা সম্ভব হয়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য নতুন ভ্যাকসিন রফতানি করা হবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগী দেশগুলিকে ভ্যাকসিন দিয়ে সাহায্য করবে রাশিয়া।