নয়াদিল্লি : একদিকে চূড়ান্ত আর্থিক সঙ্কটের জেরে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। আরেকদিকে জিনিসপত্রের চড়া দাম। নাজেহাল শ্রীলঙ্কাবাসী। দেশে এখন ওষুধের তীব্র ঘাটতি। চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বহু মানুষ। মঙ্গলবার থেকে শ্রীলঙ্কায় জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (An emergency health situation ঘোষণা করা হয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্রে বিদেশি মুদ্রার সঙ্কট ভয়াবহ। স্বাধীনতার পর থেকে এমন চরম আর্থিক সঙ্কট দেখেনি শ্রীলঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে শাসককেই দুষছেন সাধারণ মানুষ। 

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশছোঁয়া দাম
ব্যবসায়ীদের দাবি, ৩-৪ মাস আগে আপেলের কেজি ছিল ৫০০ টাকা, এখন সেই দাম হাজার ছুঁয়েছে। ন্যাশপাতির দাম আগে ছিল ৭০০ টাকা কেজি। এখন তা বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকায়। কেনার সামর্থ্য নেই সাধারণ মানুষের। ফলে আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

 শিশুদের মুখে খাবারের জোগান দেবেন যে, সেই অবস্থাও নেই
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় চালের ন্যূনতম দাম ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ১ কেজি চাল কিনতে সেখানে ২২০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। গম বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১৯০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ২৪০ টাকা দাম রাখা হয়েছে চিনির। নারকেল তেলের দাম পৌঁছেছে প্রতি লিটারে ৮৫০ টাকায়। একটি ডিম কিনতে সেখানে ৩০ টাকা দিতে হচ্ছে গ্রাহককে। শুধু তাই নয়, প্রাপ্তবয়স্করা অল্প খেয়ে শিশুদের মুখে খাবারের জোগান দেবেন যে, সেই অবস্থাও নেই। কারণ সেখানে প্রতি কেজি গুঁড়ো দুধের দাম পৌঁছেছে ১৯০০ টাকায়। সবজি সেদ্ধ করে খাওয়ার উপায়ও নেই। কারণ বিগত কয়েক সপ্তাহের সবজির দাম বাড়তে বাড়তে দ্বিগুণ, ত্রিগুণ থেকে প্রায় চতুর্গুণ হয়ে গিয়েছে।




রবিবার শ্রীলঙ্কা জুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ফেসবুক, ট্যুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব-সহ সমস্ত সোশাল মিডিয়া। বন্ধ স্ন্যাপচ্যাট, টিকটক ও ইনস্টাগ্রামও।  শ্রীলঙ্কা সরকারের তরফে এই পদক্ষেপের সাফাই দিয়ে বলা হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।