কলম্বো :  অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কা। জনতার দখলে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ। দেশ ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তিনি দেশ ছাড়ার পর শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত। ফ্লাওয়ার গার্ডেনে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘের বাড়ির সামনে বিশাল জমায়েত করে জনতা। বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায় প্রাসাদের সামনে। দেখা নেই কোনও রক্ষীর। ফলে প্রাসাদ চত্বরে অবাধ বিচরণ জনতার। এই পরিস্থিতিতেই জারি হয়ে গেল জরুরি অবস্থা। জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। সেই সঙ্গে নতুন প্রসিডেন্ট হলেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে।

গণবিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ কলম্বো

এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের বাড়ির সামনে তুমুল উত্তেজনা  সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির পাঁচিলে উঠে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। গণবিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ কলম্বো। বিক্ষোভ প্রশমিত করতে জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়েছে। পশ্চিম শ্রীলঙ্কায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। 


 প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে যা খুশি তাই 
কার্যত পিকনিকের মেজাজ। কেউ এলোমেলো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ শুয়ে-বসে সময় কাটাচ্ছেন। কেউ তুলছেন সেলফি। আবার কোথাও কয়েকজন জড়ো হয়ে জমিয়ে দিচ্ছেন আড্ডা। দিন কয়েক আগেও যে প্রাসাদ ছিল জনতার কাছে অগম্য। নিরাপত্তায় মোড়া। আজ সেই প্রাসাদই সাধারণ মানুষের দখলে।


অর্থনৈতিক সঙ্কটে জেরবার শ্রীলঙ্কায় পেট্রোল ও রান্নার গ্যাসের আকার তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এদিনও, পেট্রোল পাম্পের বাইরে চোখে পড়েছে লম্বা লাইন! এই অবস্থায়, প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্রে চাহিদা বাড়ছে সাইকেলের। এখানেও পৌঁছে গেছিলেন বিক্ষোভকারীরা।