ওয়াশিংটন: অন্য কিছু নয়, মার্কিন ক্যাপিটলে (capitol hill) হামলার (chaos) জন্য খোদ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (trump) টুইট-ই (tweet) দায়ী। জানাল মার্কিন কংগ্রেসের (congress) তদন্তকারী কমিটি। ২০২১-র ৬ জানুয়ারি (january)ক্যাপটল হিলে যে তাণ্ডব চলে তারই তদন্ত করছিল সিলেক্ট কমিটি (select committe)। অভিযোগ ছিল, অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিলেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।


কী বলছে সিলেক্ট কমিটি?


ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে ট্রাম্প যে হেরে গিয়েছেন, সেটা ভোটের ফলাফলেই তখন স্পষ্ট। কিন্তু রিপাবলিক পার্টির নেতা কিছুতেই হার মানবেন না। এমনকী তাঁর ভোটপ্রচারের দায়িত্বে থাকা দল ও হোয়াইট হাউসের কর্মীরা পরাজয় মেনে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বললেও গোঁ ছাড়তে নারাজ ট্রাম্প। এই অচলাবস্থার মধ্যেই এক দিন কয়েক জন উপদেষ্টাকে হোয়াইট হাউসে ডেকে পাঠিয়েছিলেন মার্কিন ধনকুবের। ২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর সেটা। উপদেষ্টাদের মধ্যে ছিলেন ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি গিউলিয়ানি, এবং প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন। কংগ্রেসের তদন্তকারী কমিটির দাবি, ওই দুজনই ট্রাম্পকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি যেন সেনাবাহিনীকে প্রদেশগুলির ভোটিং মেশিন বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন। ঠিক সেই সময়ই বৈঠকে ঢুকে পড়েন হোয়াইট হাউসের কাউন্সেল প্যাট সিপোলোন। সিলেক্ট কমিটিকে তিনি বলেছেন, 'ওঁকে কেউই সঠিক পরামর্শ দিচ্ছিলেন বলে মনে হয়নি।' সেটা বলায় তুমুল অশান্তি হয়। সিপোলোনকে গালিগালাজ করা হয়, এমনকী ধাক্কাও দেওয়া হয়। বৈঠক মাঝরাত পর্যন্ত চলে। তবে শেষমেশ ব্যালট বাক্স বাজেয়াপ্ত করার ভাবনা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। যদিও রাত ১টা ৪২ মিনিটে ট্রাম্প টুইট করেন, '২০২০ সালের নির্বাচন হেরে যাওয়া সংখ্যাগত ভাবেই অসম্ভব। আগামী ৬ জানুয়ারি ডি.সি.-তে বড় প্রতিবাদ হবে।  তৈরি থাকুন। ওখানে আসুন।'


টুইটে 'উস্কানি'


এর পরই ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে বলে দাবি কংগ্রেসের সিলেক্ট কমিটির। চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোর কাছে বার্তা চলে যায়। টুইটার সূত্রে খবর, এর পর থেকেই হিংসাত্মক কথাবার্তা বাড়তে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কখনও কখনও খুনের হুমকি পর্যন্ত চালাচালি হয়। সব মিলিয়ে কমিটির দাবি স্পষ্ট। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের পোস্টের সঙ্গে ক্যাপিটলে হামলার সুস্পষ্ট যোগাযোগ রয়েছে। সঙ্গে আশঙ্কা, এর মধ্যে আবার সাক্ষীদের প্রভাবিত করারও চেষ্টা  করেছেন ট্রাম্প।  


মোটের উপর ফের অস্বস্তি রিপাবলিকান শিবিরে। এর পর কোন দিকে তদন্তের অভিমুখ গড়াবে? লক্ষ্য গোটা বিশ্বের। 


আরও পড়ুন:ছিনতাই শ্যামবাজারে ! মহিলাকে পিস্তল দেখিয়ে গয়না নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতী