কলম্বো: শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে সোমবার থেকে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক হিংসা এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে, প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বাড়িঘর, দোকানপাট, ধর্মস্থানে ভাঙচুর চলছে। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘের হাত থেকে পুলিশ দফতর কেড়ে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মৈথ্রিপালা সিরিসেনা। এই পরিস্থিতিতে হিংসার নিন্দা করে শান্তির আবেদন জানিয়েছেন তিন প্রাক্তন ক্রিকেটার কুমার সঙ্গাকারা, মাহেলা জয়বর্ধনে ও সনৎ জয়সূর্য।



গত সপ্তাহে এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক হিংসা শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হিংসায় উস্কানি দেওয়া ঠেকাতে শ্রীলঙ্কা সরকার ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট এবং ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়াগুলি ব্লক করে দিয়েছে। সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীরা টহল দিচ্ছেন। তা সত্ত্বেও ধর্মস্থানে পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত হিংসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।



গতকাল ক্যান্ডি পরিদর্শনে যান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। তিনি হিংসা রোখার জন্য নিরাপত্তারক্ষীদের সবরকমভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ক্যান্ডির আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি রোখার জন্য ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন সিরিসেনা। তা সত্ত্বেও হিংসা থামছে না।

হিংসা থামাতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ্রা রাজাপক্ষে। তাঁর দাবি, হিংসার পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র নেই। শাসক দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির অক্ষমতার জন্যই হিংসা ছড়াচ্ছে। সরকার দায়িত্ব এড়াচ্ছে। কেউ হিংসা থামানোর জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে না।