Sri Lanka Petrol Diesel Crisis: ভারতের দক্ষিণের প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা আর্থিক সংকটে জর্জরিত হয়ে পড়েছে।  অবস্থা এতটাই খারাপ যে, পেট্রোল-ডিজেল কেনার মতো সঙ্গতিও নেই বলে খবর। কারণ, শ্রীলঙ্কার হাতে নেই পর্যাপ্ত বিদেশী মুদ্রার ভাণ্ডার। ফলে পেট্রোল ও ডিজেল কেনার মতো নগদ তাদের নেই। দেশের বেশিরভাগ পেট্রোল পাম্পেই যোগান শেষ হয়ে গিয়েছে। আর যে হাতেগোনা কয়েকটি পেট্রোল পাম্প খোলা, সেগুলিতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি। বিদেশি মুদ্রা সংকট ( Forex Reserve Crisis)-এর জন্যই শ্রীলঙ্কার আর্থিক পরিস্থিতি এতটা বেহাল হয়ে পড়েছে।


শ্রীলঙ্কার বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, জ্বালানি ক্রয়ের কিস্তি মেটানোর জন্য পযাপ্ত মার্কিন ডলার নেই। শ্রীলঙ্কার শক্তিমন্ত্রী উদয় গাম্মানপিলা সোমবার বলেছেন, জ্বালানির দুটি খেপ আজ চলে এসেছে। কিন্তু অর্থ মেটাতে আমরা অপারগ। গত সপ্তাহে  সরকারি রিফাইনারি সিলোন পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (সিপিসি) বলেছিল, তাদের কাছে বিদেশ থেকে যোগান ক্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ নগদ নেই। সরকার দ্বারা নির্ধারিত মূল্যে ডিজেল বিক্রির কারণে ২০২১-এ সিপিসি-র ৪১.৫ কোটি ডলার লোকসান হয়েছিল। 


উদয় গাম্মানপিলা বলেছেন, আমি জানুয়ারিতে দুই বার এবং চলতি মাসের শুরুতে ডলার সংকটের কারণে জ্বালানির যোগান হ্রাসের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছিলাম। বিদেশী মুদ্রা সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কার শক্তি ক্ষেত্রে খুবই খারাপ প্রভাব পড়েছে। জ্বালানির সরবরাহ না থাকার কারণে পেট্রোল পাম্পগুলিতে লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। 


গাম্মানপিলা বলেছেন, এই সংকট থেকে বেরোনোর একটাই পথ এবং তা হল জ্বালানির খুচরো বিক্রয় মূল্য বৃদ্ধি। তিনি আরও বলেছেন, সরকার জ্বালানির আমদানির ক্ষেত্রে সীমা শুল্ক কমানোর কথাও ভেবেছে, যাতে এর লাভ জনতার পেতে পারে। চলতি মাসের শুরুতে শ্রীলঙ্কা ভারতীয় কোম্পানি ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (আইওসি) থেকে ৪০ হাজার টন পেট্রোল কিনেছিল, যাতে দেশের জ্বালানির চাহিদা মেটানো যায়। চলতি সংকট থেকে শ্রীলঙ্কা কীভাবে বেরোতে পারে, এখন সেটাই দেখার।