নয়াদিল্লি: ইউক্রেন (ukraine) সংকট ঘিরে উত্তাল বিশ্ব রাজনীতি। মুখোমুখি রাশিয়া এবং আমেরিকা নেতৃত্বাধীন জোট। এই পরিস্থিতিতে সামান্য হলেও মিলেছে আশার আলো। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি হয়েছে আলোচনার সম্ভাবনা।  


বিশেষ শর্তের ভিত্তিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন  এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Joe Biden-Vladimir Putin) মধ্যে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। পুতিন প্রশাসন ইউক্রেনের উপর এখন হামলা চালাবে না, একমাত্র এই শর্তেই আলোচনা হবে বলে জানানো হয়েছে ফ্রান্সের তরফে। আলোচনার মাধ্যমে ইউরোপে যুদ্ধ পরিস্থিতি এড়াতে আমেরিকা ও রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে বসাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছিল ফ্রান্স। তাতে সাড়া মিলেছে। আলোচনায় বসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাইডেন প্রশাসনও। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন পেস্কি (jen pseki) স্পষ্ট জানিয়েছেন, আগ্রাসন বা যুদ্ধ শুরুর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত যুদ্ধ রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা। আপাতত ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ না করলে আগামী বৃহস্পতিবার ইউএস সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন (anthony blinken) এবং রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ (sergei lavrov) ইউরোপে আলোচনায় বসতে পারেন বলেও জানানো হয়েছে। ক্রেমলিন সূত্রে খবর, এরই মধ্যে রাশিয়া সফরে যাবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও (imran khan)।


দীর্ঘদিন ধরেই ইউক্রেনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছে পূর্ব ইউরোপের পরিস্থিতি। এর আগেও ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে (crimea) ঘিরে সংঘর্ষ বেঁধেছিল রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। ইউক্রেনের পূর্বপ্রান্তের ডনেৎস্ক (donetsk) এবং লুহান্সক (luhansk) এলাকায় রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতবাদীরা বারবার সমস্যা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় শেলিং (shelling) আরও বেড়েছে বলে দাবি ইউক্রেন প্রশাসনের। পাল্টা অভিযোগ এসেছে রাশিয়ার তরফেও। চিন্তা বাড়িয়েছে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর অবস্থানও। কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবির ভিত্তিতে আমেরিকার তরফে দাবি করা হয়েছে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই রয়েছে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত বিপুল পরিমাণ রাশিয়ান সেনা। ইউক্রেন জটিলতার মাঝেই বেলারুশের সঙ্গে যৌথ মহড়া চালু করেছিল পুতিন প্রশাসন। সেই মহড়ার সময়সীমা বাড়িয়েছে তারা। এই সিদ্ধান্তে রক্তচাপ বেড়েছে আমেরিকা ও ন্যাটোর (nato)।


ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হলে প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিশ্ব অর্থনীতি। সমস্যায় পড়বে গোটা ইউরোপ (europe) এবং আরব উপমহাদেশও। ফলে সেই যুদ্ধ রুখতে কূটনৈতিকভাবে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে বিশ্বের একাধিক শক্তিধর দেশ। 


আরও পড়ুন: ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন দেড় লক্ষ রুশ সেনা, দাবি আমেরিকার


আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বে বাড়ছে যুদ্ধের আশঙ্কা, কেন এই সঙ্কট, জেনে নিন বিশদে