কলম্বো: তুমুল ডামাডোল শ্রীলঙ্কায়। পদত্যাগ করলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন শ্রীলঙ্কার সংসদের অধ্যক্ষ। তিনি জানিয়েছেন, যতদিন না নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হচ্ছে, ততদিন প্রেসিডেন্টের (President) পদের দায়িত্ব সামলাবেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে (Ranil Wickremesinghe)। 


শ্রীলঙ্কার ডামাডোলের একদম শুরুর দিকে পদত্যাগ করেছিলেন সেদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ্রা রাজাপক্ষে। তাঁর জায়গায় প্রধানমন্ত্রী পদে আসেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। এবার মাহিন্দ্রার ভাই গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের পরে আপাতত প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও সামলাবেন রনিল। 


অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কা:
ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটে রয়েছে ভারতের পড়শি এই দ্বীপরাষ্ট্র। বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার প্রায় শেষ। বিপুল দেনায় ডুবে রয়েছে দেশটি। রকেটগতিতে বেড়েছে মূল্যবৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় খাবার-ওষুধও কেনা যাচ্ছে না। প্রবল সঙ্কট জ্বালানিতেও। পেট্রোল-ডিজেলের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায় দেখা দিয়েছে রান্নার গ্যাসের হাহাকার। ডিলারদের কাছে স্টক শেষ। ভাগ্য ভাল থাকলে সিলিন্ডার পাচ্ছেন কোনও কোনও গ্রাহক। কিন্তু, সাড়ে ১২ কেজি-র একটি সিলিন্ডারের পিছনে গুণতে হচ্ছে ৪ হাজার ৮৬০ শ্রীলঙ্কান রুপি। এর ফলে কার্যত গণবিদ্রোহ চলছে শ্রীলঙ্কায় (Srilanka)। প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে আমজনতা। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভের সময় বারবার পুলিশ-সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কায় সরকারি সম্পত্তি, গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও জীবন রক্ষায় যে কোনও পদক্ষেপের অনুমতি দেওয়া হল সেনাকে।  


সেনাকে বিশেষ অনুমতি:
বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে এবং সরকারি সম্পত্তি বাঁচাতেই বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেনাকে (Army)। শ্রীলঙ্কার সেনার তরফে এই কথা জানিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার সেনার কয়েকজন জওয়ানের থেকে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভকারীদের বাধা দিতে গিয়ে আহতও হয়েছেন কয়েকজন সেনাকর্মী। তারপরই কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দেওয়া হল সেনাকে। প্রয়োজনে গুলি চালানোর ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে সেনাকে।  
ছিনতাই হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজ শুরু করা হয়েছে।   


আরও পড়ুন: 'তাজমহল গড়তে টেন্ডার ডাকেননি শাহজাহানও', টেবিলের তলা দিয়ে চুক্তি নিয়ে সাফাই মন্ত্রীর