কলম্বো: বোরখা নিষিদ্ধ করতে চলেছে শ্রীলঙ্কা? সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হবে এক হাজারেরও বেশি সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় স্কুল? আর কেউ নন, শনিবার এ কথা জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।


শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শরথ বীরাশেখারা জানিয়েছেন যে, মহিলাদের মুখ ঢাকা বোরখা পরিধান নিষিদ্ধ করা হচ্ছে সে দেশে। শুক্রবার তিনি এই সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সই করেছেন বলেও জানিয়েছেন শরথ। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার স্বার্থে এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন তিনি।


গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মাহিন্দ্রা রাজাপক্ষের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী শরথ। তিনিই জানিয়েছেন, তাঁদের দেশে কয়েকদিনের মধ্যেই বোরখা নিষিদ্ধ করা হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, দিনকয়েকের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় প্রায় এক হাজার ইসলামিক স্কুল বন্ধ করবে সরকার। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শরথ।


প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জনমত সংগ্রহ করে বোরখা নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছিল সুইজারল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শরথ বীরাশেখারা জানিয়েছেন, ক্যাবিনেটের মঞ্জুরির জন্য ইতিমধ্যেই তাঁরা একটি বিল তৈরি করেছেন। দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার জন্য বোরখা নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে সেই বিলে। বিলটি ক্যাবিনেটে পাশ হলেই শ্রীলঙ্কার সংসদ আইন এনে বোরখা নিষিদ্ধ করবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার সরকার এক হাজারেরও বেশি ধর্মীয় স্কুল বন্ধের ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করছে। শ্রীলঙ্কা সরকারের মন্ত্রীদের মতে, ধর্মীয় স্কুলগুলি সে দেশের রাষ্ট্রীয় শিক্ষা নীতির সামনে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, যে কেউ আর স্কুল খুলে বাচ্চাদের যা খুশি শিক্ষা দিতে পারবে না। সরকারের নির্ধারিত শিক্ষা নীতি অনুসরণ করে চলতে হবে।


শ্রীলঙ্কার মন্ত্রীর দাবি, বোরখা ধর্মীয় বাড়াবাড়ির ইঙ্গিত বহন করে। শরথ বীরাশেখারা জানিয়েছেন, আগে মুসলিম মহিলারা বোরখা পরতেন না। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার মুসলিমরা সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হতে পারেন। তবে রাষ্ট্রের সুরক্ষা ব্যবস্থার স্বার্থে বোরখা নিষিদ্ধ করাই উপযুক্ত পদক্ষেপ বলে মনে করেছে সে দেশের সরকার।