লন্ডন: ‘এলিয়েন’ বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের প্রতি মানুষের আকর্ষণ দীর্ঘদিনের। তাদের অস্তিত্বের দাবি করে বিশ্বব্যাপী রয়েছে অনেক তত্ত্ব।


কখনও বিজ্ঞান ও কল্পনার মিশ্রণ ঘটিয়ে বহু লেখক তাঁদের কলমের কালি খরচ করে উপন্যাসের রচনা করেছেন। আবার কখনও সেলুলয়েডের পর্দায় এলিয়েন-দের পৃথিবী-সফরকে ঘিরেও তৈরি হয়েছে বহু সাই-ফাই চলচ্চিত্র।

শুধু কল্পনাই নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাসা সহ বহু দেশেই চলছে ‘এলিয়েন’ নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা। রিতিমত, ভিনগ্রহের প্রাণীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্র।

আর এখানেই আপত্তি তুলেছেন স্টিফেন হকিং। এই প্রথিতযশা ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানীর দাবি, অকারণে এই যোগাযোগের চেষ্টা পৃথিবীবাসীর কাছে ভয়ঙ্কর হয়ে দেখা দিতে পারে।

অতীতে, একাধিক হলিউডের কাল্পনিক ছবিতে দেখা গিয়েছে, ভিনগ্রহের প্রাণীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করার ফলে, অচিরে পৃথিবীতে হানা দিয়েছে তারা। এখানে এসে তারা ধ্বংসলীলা চালিয়েছে।

হলিউডের ছবির সেই আশঙ্কার বাণীই এবার হকিংয়ের গলায়। তিনি বলেছেন, কোনওভাবে তুলনামূলকভাবে উন্নত সভ্যতার ভিনগ্রহীরা পৃথিবীতে এলে সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না।

এপ্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি, প্রথমবার ক্রিস্টোফার কলাম্বাস যখন আমেরিকায় এসেছিল, তখনও একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে।

হকিংয়ের আশঙ্কা, এটা মানতে হবে যে যারা বহু আলোকবর্ষ অতিক্রম করে পৃথিবীতে আসতে সক্ষম, বলার প্রয়োজন নেই যে তাদের প্রযুক্তি এই গ্রহের চেয়ে বহুগুণ উন্নত।

বিজ্ঞানীর সতর্কবাণী, আমরা যেমন ব্যাক্টেরিয়াকে দেখি, তেমনই হয়ত ওই ভিনগ্রহীরা মানুষকে দেখবে। যা অচিরেই মানবসভ্যতাকে বিনাশ করার পক্ষে যথেষ্ট হবে।